(বাঁ দিকে) প্রশান্ত কিশোর। তেজপ্রতাপ যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিন মাস আগে। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব মাস দেড়েক আগেই জানিয়েছেন বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে আলাদা ভাবে লড়বেন তিনি। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে তাঁর আচমকা ‘টুপি বদল’ ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে বিহার রাজনীতিতে।
গত জুন মাসে লালু দল এবং পরিবার থেকে তেজপ্রতাপকে বিতাড়িত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পর থেকে ধারাবাহিক ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজপ্রতাপ। সর্বত্রই অনুগামীদের হাতে দেখা গিয়েছে সবুজ-সাদা রঙের পতাকা। পতাকার উপরে লেখা ‘টিম তেজপ্রতাপ যাদব’। তেজপ্রতাপের মাথায় দেখা গিয়েছে সবুজ রঙের টুপি। আরজেডির দলীয় পতাকাতেও রয়েছে সবুজ এবং সাদা রং। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে নিয়মিত হলুদ টুপি পরে প্রকাশ্যে আসছেন তেজপ্রতাপ। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা নবগঠিত জনসুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোরও তাঁর দলের পতাকার রং হিসেবে বেছে নিয়েছেন হলুদকে। চলতি বছরের গোড়ায় ‘বদলাও যাত্রা’র সময় পিকের গলায় নিয়মিত দেখা গিয়েছে হলুদ উত্তরীয়। দলের মঞ্চ, প্যান্ডালেও ব্যবহার করা হয়েছে হলুদ কাপড়। পরিবার ও দলচ্যুত তেজপ্রতাপ এই পরিস্থিতিতে পিকের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিতেই হলুদ টুপি ব্যবহার করছেন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। যদিও বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে এমন সম্ভাবনার কথা খারিজ করেছেন তেজপ্রতাপ। তিনি বলেন, ‘‘পিকে এতদিন রাজনীতিকে ব্যবসার কাজে লাগিয়েছেন। আমি রাজনীতি করব মানুষের জন্য।’’ তবে সেই সঙ্গেই দল এবং পরিবারের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই জানিয়ে খোঁচা দিয়েছেন, নিজের ভাই তেজস্বী যাদবকে (ঘটনাচক্রে, লালু আগেই যাঁকে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি ঘোষণা করেছেন)। বলেছেন, ‘‘আমাকে আর ওর কোনও প্রয়োজন পড়বে না।’’ মগধভূমে ‘বদলাও’য়ের পথ কি খোলা রাখলেন তেজপ্রতাপ?