একা নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত হাইকমিশনার রবি থাপারই নন, আরও ৪৩ জন দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। ১৭টি দেশের ওই তেতাল্লিশ জন কর্মীর কারও বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, কারও নামে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ আজ জানান, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার।
গত কালই প্রকাশ্যে আসে রবি থাপারের ঘটনা। রাঁধুনির উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠায় বিদেশ মন্ত্রক তাঁকে দেশে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে। খবরটা অবশ্য মে মাসেই জানতে পেরেছিল মন্ত্রক। তবে একটু অন্য ভাবে। তাদের কাছে খবর আসে, দূতাবাসের এক কর্মী নিখোঁজ। পরে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানায়, ওয়েলিংটনের রাস্তায় বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল লোকটিকে। পুলিশের প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করতেন থাপারের স্ত্রী শর্মিলা। এর পরই তিনি দূতাবাস ছেড়ে পালান।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখানো শুরু করতেই নড়েচড়ে বসে মন্ত্রক। তড়িঘড়ি হাইকমিশনারকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘যে কোনও অভিযোগই মন্ত্রক যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে।’’ কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বিদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের আচরণবিধি নিয়ে। ২০১২ সালে মন্ত্রকের কাছে এমন অভিযোগ এসেছিল ৬টি।
২০১৩ সালে ১০টি। আর ২০১৪ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭। এর মধ্যেই শুধু ব্রিটেন ও মাদাগাস্কার থেকেই আট-আটটি অভিযোগ জমা পড়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।