অহমদাবাদে দুর্ঘটনার পরের দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।
অহমদাবাদে গত ১২ জুনের বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছিল ২০০-রও বেশি মানুষের। নিহতদের প্রায় সকলেরই দেহ দুর্ঘটনা-পরবর্তী বিস্ফোরণে ঝলসে গিয়েছিল। অনেকের সম্পূর্ণ দেহও পাওয়া যায়নি, কারও শুধু হাত খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, কারও পা কিংবা মাথা! তার পর দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এত দিনে শেষ হল সেই সব দেহ ও দেহাংশ শনাক্তকরণের কাজ। ডিএনএ পরীক্ষায় শেষ দেহাংশটিও শনাক্ত করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। শনিবার তা তুলে দেওয়া হয়েছে পরিজনদের হাতে।
শনিবার সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬০। এত দিন পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ধন্দ ছিল। ঘটনার দিন রাতে গুজরাত পুলিশের তরফে ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। পরে বিমানের ধ্বংসস্থল থেকে আরও দেহ এবং দেহাংশ উদ্ধার হয়। সে সময় অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, অন্তত ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এ বার ডিএনএ পরীক্ষার পরে জানা গেল, ঘটনাস্থল থেকে সব মিলিয়ে ২৬০ জনের ডিএনএ মিলেছে। ফলে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬০।
অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট রাকেশ জোশী বলেন, ‘‘শনিবার ডিএনএ পরীক্ষায় শেষ নিহতের মরদেহটিও চিহ্নিত করা হয়েছে। তা আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬০ জনে দাঁড়াল।’’ বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ এবং এক জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জীবিত মাত্র এক জন— বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিক। বিমানে থাকা ২৪১ জনের পাশাপাশি ১৯ জন স্থানীয়েরও মৃত্যু হয়েছে। রাকেশ আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিন জন এখনও সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা ভেঙে পড়ে।