ভিডিয়োয় তিনতলা থেকে লাফ দিতে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের। ছবি: সংগৃহীত।
অহমদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় গত ১২ জুন দুপুরে লোকালয়ের উপর আচমকা ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান। মৃত্যু হয় বিমানে থাকা ২৪১ জনের। বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের যে ভবনের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেখানেও ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পাঁচ দিন পর এ বার প্রকাশ্যে এল দুর্ঘটনার নতুন একটি ভিডিয়ো, যেখানে আগুন থেকে বাঁচতে হস্টেলের বারান্দা থেকে লাফ দিতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের।
ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার পরমুহূর্তেই দাউদাউ করে আগুন লেগে গিয়েছে ছাত্রাবাসেও। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। আগুন থেকে বাঁচতে ছাত্রদের কেউ কেউ হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকেও ঝাঁপ দিচ্ছেন। সেই মুহূর্তই ধরা পড়েছে ওই ভিডিয়োয়।
ভিডিয়োয় ছাত্রদের জানলা দিয়ে বেরোতে দেখা গিয়েছে। কাপড় দিয়ে দড়ি বানিয়ে নীচে নামার চেষ্টা করছেন তাঁরা। উপর থেকে বাকিরা তাঁদের একে একে নীচে নামতে সাহায্য করছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরের অদূরে বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে। সে সময় হস্টেলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছিল। ঘটনাস্থলেই একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। কেউ কেউ তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরের কিছু ছবিতেও হস্টেলের ক্যান্টিনের বিধ্বস্ত চিত্র দেখা গিয়েছিল, যেখানে আবাসিকেরা খাবার খান। তাতে দেখা যায়, বহু বেঞ্চ ভেঙে পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে থালায় সাজানো খাবার। মেস তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে দেওয়ালও। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমান। গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বিমানে যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে ২৪২ জন ছিলেন। এক জন ছাড়া তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়।