বিমান দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
একাই ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের! ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার দুপুরে যিনি ছিলেন লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া এআই১৭১-এর পাইলট। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জনকে নিয়ে লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে সেই বিমান। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চার দিক। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, সে সব এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন দুই দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সকলকেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের অহমদাবাদে সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরেই মেঘানিনগরের কাছে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী বিমান। দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) সূত্রে খবর, বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সবরওয়াল। সঙ্গে ছিলেন সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহ-পাইলটের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল ১,১০০ ঘণ্টা। অর্থাৎ দুই পাইলটের সম্মিলিত উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ১০ হাজার ঘণ্টার কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ‘মে ডে কল’ দেন পাইলট। তার পর ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে গোত্তা খেতে খেতে নামতে শুরু করে বিমানটি।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। বোয়িং সংস্থার বি৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। গন্তব্য ছিল ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর।ডিজিসিএ) জানিয়েছে, রানওয়ে ছাড়ার পর পরই দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। পরমুহূর্তেই লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের বহু ইঞ্জিন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।