Plane Crash in Ahmedabad

ভেঙে পড়া বিমানের নীচেই পড়ে রইল ছেলের দেহ! হাহাকার এক চুলের জন্য বেঁচে যাওয়া মায়ের

ওই সময়ের একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনও মতে পালাচ্ছেন এক মহিলা। তিনিই সীতাবেন। তবে তাঁর ১৫ বছরের ছেলে পালাতে পারেনি। সেখানেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় আকাশের দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ২০:৩৯
Share:

ভেঙে পড়া বিমানের ছবি। ছবি: পিটিআই।

গুজরাতের অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭০ জনের। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন কেউ কেউ। এ বার প্রকাশ্যে এল এমনই এক মা-ছেলের গল্প। দুপুরে মাকে খাবার দিতে এসেছিল বছর পনেরোর কিশোর। ভেঙে পড়া বিমান থেকে ধেয়ে আসা আগুনের গোলায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তার শরীর। অথচ অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন মা সীতাবেন!

Advertisement

নিহত কিশোরের নাম আকাশ। মেঘানিনগরে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের অদূরেই ছিল তার মা সীতাবেনের চায়ের দোকান, পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর তার আর চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মা-কে খাবার দিতে দোকানে গিয়েছিল আকাশ। তখনই ভেঙে পড়ে বিমান। কিছু বোঝার আগেই আগুনে ঝলসে যায় ছেলে। অল্পের জন্য রক্ষা পান মা সীতাবেন। তবে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মায়ের শরীরের ৫০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখনও তিনি সিভিল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। সীতাবেন বলেন, ‘‘বিমানটা পিছন থেকে এসেছিল। আগের মুহূর্ত পর্যন্তও বুঝতে পারিনি যে এমন কিছু ঘটতে চলেছে। ভেঙে পড়ার সময় বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ!’’ ছেলের মৃত্যুর খবর প্রথমে সীতাকে জানানো হয়নি। তবে পরে খবর পেয়েছেন। সেই থেকে অঝোরে কেঁদেই চলেছেন সীতা।

সীতাবেনের স্বামী সুরেশ কুমারের কথায়, ‘‘আমার ছেলে মাকে খাবার দিতে এসেছিল। তার পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য দোকানের পাশেই একটা বেঞ্চে শুয়ে পড়ে। পরমুহূর্তেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারদিক।’’ বৃহস্পতিবারই ছেলের দেহ শনাক্ত করেছেন বাবা। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।

Advertisement

ওই সময়ের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনও মতে পালাচ্ছেন এক মহিলা। তিনিই সীতাবেন। তবে তাঁর ছেলে পালাতে পারেনি। সেখানেই দগ্ধ হয়ে যায় আকাশের দেহ। ঘটনার পর থেকে বিধ্বস্থ আকাশের পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আকাশের দাদা কল্পেশ। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারে শুধু ভাই, বোন আর মা-বাবা ছিল। ভাই এভাবে চলে গেল!’’ এখনও ভাইয়ের ফেরার অপেক্ষাতেই রয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement