ফের বিস্ফোরক মন্তব্য জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার। গত কাল জম্মুতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগের জন্য মহম্মদ আলি জিন্না দায়ী নন। বরং জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই পটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্যই তা হয়েছিল।
জম্মুর শের-এ-কাশ্মীর ভবনের ওই অনুষ্ঠানে ফারুকের দাবি, ব্রিটিশের থেকে প্রস্তাবিত ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে মুসলিমদের বিশেষ প্রতিনিধিত্ব ও রক্ষাকবচ পাওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেসের ওই তিন নেতা। সেই বিরোধিতাই পাকিস্তান তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। প্রবীণ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার কথায়, ‘‘জিন্না সাহেব পাকিস্তান বানাতে চাননি। কমিশন (১৯৪৬-র ক্যাবিনেট মিশন) ঠিক করে, ভারত ভাগ হবে না। মুসলিমদের বিশেষ প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সংখ্যালঘুদের, শিখদের জন্যও রক্ষাকবচ থাকবে। জিন্না সেটা মেনে নেন। নেহরু, মৌলানা আজাদ এবং সর্দার পটেল মানেননি। জিন্না তখন ফের পাকিস্তানের দাবি তোলা শুরু করেন।’’ ফারুক মনে করেন, সে দিন ওই পরিস্থিতি তৈরি না হলে আজ পাকিস্তান, বাংলাদেশ— কিছুই হত না। ভারত অখণ্ড থাকত।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতির সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা যে ভাবে মিশছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ফারুক বলেন, ‘‘মেরুকরণ হল বৃদ্ধির পথে বাধা।’’ মোদীর দলকে তাঁর হুঁশিয়ারি— বিজেপি যেন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না করে।