নিজেদের হাসপাতালেই নিথর দেহ তিন নার্সের

রাতের শিফ্‌টে কাজ করতে আসছিলেন তিন নার্স। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশন (সিএসটি) এবং উল্টো দিকের বি টি লেনের সংযোগকারী ফুটব্রিজ ভেঙে মারা গেলেন ওঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৩
Share:

ভেঙে পড়েছেন নার্স ভক্তি শিন্দের পরিজনেরা। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।

প্রতি দিনের মতোই গত কাল সন্ধেয় গোকুলদাস তেজপাল হাসপাতালে ঢুকলেন অপূর্বা প্রভু, রঞ্জনা তাম্বে এবং ভক্তি শিন্দে। এটাই তিন নার্সের কর্মস্থল। কিন্তু গত কাল স্ট্রেচারে তাঁরা পৌঁছলেন রক্তাক্ত, অচেতন অবস্থায়। তিন জনকে দেখে আঁতকে উঠলেন সহকর্মীরা। চোখের জল সামলাতে সামলাতে দেখলেন, ওঁরা আর বেঁচে নেই।

Advertisement

রাতের শিফ্‌টে কাজ করতে আসছিলেন তিন নার্স। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশন (সিএসটি) এবং উল্টো দিকের বি টি লেনের সংযোগকারী ফুটব্রিজ ভেঙে মারা গেলেন ওঁরা। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অপূর্বার স্বামী অভয়। গত কাল অপূর্বাকে ট্রেনে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে অপূর্বার সঙ্গেই ছিলেন রঞ্জনা ও ভক্তি।

তিন জনেই ডোম্বিভলীতে থাকতেন। একই সঙ্গে কাজে যেতেন। তবে বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের এক সঙ্গী। প্রতি দিন একসঙ্গে ট্রেনে চেপে হাসপাতালে গেলেও ছেলের কিছু জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দেরি হয়ে যাওয়ায় আর ওই ট্রেনে উঠতে পারেননি। গোকুলদাস হাসপাতালের শোকাহত ডাক্তার-নার্সেরা বারবার বলেছেন, ওই তিন জনই ছিলেন দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সেতু দুর্ঘটনায় মৃত বাকি তিন জন হলেন জাহিদ সিরাজ খান (৩২), মোহন কায়ানগুড়ে (৫৮) এবং তপেন্দ্র সিংহ (৩৫)। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, এই গাফিলতির দায় কার, দ্রুত তা বার করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement