Murder

টুকরো টুকরো করে খুন করা সরস্বতী ছিলেন অনাথ, লিভ ইন সঙ্গী মনোজের সঙ্গে পরিচয় ১০ বছর আগে

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ জুন খুন করা হয় সরস্বতীকে। তার পর তাঁর দেহ টুকরো করা শুরু করেন মনোজ। কিছু দেহাংশ গায়েব বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৬:৪৭
Share:

অভিযুক্ত ব্যক্তি মনোজ সানে ( বাঁ দিকে)। এই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে লিভ ইন সঙ্গীর দেহাংশ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বইয়ে লিভ ইন সঙ্গীর হাতে খুন হওয়া সরস্বতী বৈদ্য ছিলেন অনাথ। বোরিভালির একটি অনাথ আশ্রমে থাকতেন তিনি। ওই এলাকাতেই থাকতেন সরস্বতীর লিভ ইন সঙ্গী মনোজ সানে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজের একটি রেশন দোকান ছিল বোরিভালিতেই। সেই রেশন দোকানে যাতায়াত ছিল সরস্বতীর। বছর দশেক আগে সেখান থেকেই মনোজের সঙ্গে সরস্বতীর আলাপ হয়। তার পর থেকে সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। গত ২৯ মে থেকেই রেশন দোকান বন্ধ রেখেছিলেন মনোজ। কাজেও বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে মনোজ স্বীকার করেছেন, তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। তবে পাশাপাশি দাবি করেছেন, সরস্বতী আগেই আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পুলিশ মনোজের এই তথ্যে আমল দেয়নি। তাদের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়েই লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা করেছেন মনোজ।

মনোজের এক প্রতিবেশী সোমেশ শ্রীবাস্তব এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, মীরা রোডের আবাসনের আট তলার একটি ফ্ল্যাটে গত তিন বছর ধরে ছিলেন দম্পতি। কয়েক দিন ধরেই ওই দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। কিসের গন্ধ তা জানতে মনোজদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন সোমেশ। তাঁর কথায়, “দরজার কড়া নাড়ার পরেও কেউ বেরিয়ে আসেননি। তবে ঘরের ভিতরে কিছু স্প্রে করার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। মিনিট কয়েক পরে মনোজ বেরিয়ে এসে জানান, কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন।” সোমেশ জানান, তাঁর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই দু’টি করাত উদ্ধার করে। রান্নাঘর, বাথরুমে বালতি থেকে টুকরো টুকরো করা দেহাংশও উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ জুন খুন করা হয় সরস্বতীকে। তার পর তাঁর দেহ টুকরো করা শুরু করেন মনোজ। কিছু দেহাংশ গায়েব বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ধারণা, সেই দেহাংশ অন্য কোথাও ফেলে এসেছেন মনোজ। তবে লিভ ইন সঙ্গীর টুকরো করা দেহাংশ কুকুরকে খাওয়ানে হয়েছে, এই তত্ত্ব মানতে রাজি হয়নি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন