এ ছবি আজ স্মৃতি! এ বার দেখা থানায়? পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত খার পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠানো হল পিটার মুখোপাধ্যায়কে। গত সপ্তাহেই মেয়ে শিনা বরাকে খুনের অভিযোগে প্রাক্তন এই টিভি ব্যারনের স্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বই পুলিশের একটা সূত্রের খবর, বুধবার রাতে পিটারকে সামনে বসিয়ে ইন্দ্রাণীকে জেরা করা হয়। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় বলে ওই সূত্র মারফত খবর। যদিও সরকারি ভাবে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
অন্য দিকে, মুম্বই পুলিশের তিন জনের একটা দল এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছয়। তারা ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্নার বন্ধু অজয় রাওলার বেলভেডিয়ার রোডের বাড়ি থেকে সঞ্জীবের একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খার থানায় এসে পৌঁছন পিটার। শিনা হত্যায় জড়িত সন্দেহে আদালতের নির্দেশে ওই থানাতেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী। একটি সূত্রের দাবি, পিটারের সামনে এ দিন ইন্দ্রাণীকে জেরা করা হয়। পিটারকে জেরা করেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিক দীনেশ কদম।
ওই একই মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং গাড়িচালক শ্যাম রাইও আদালতের নির্দেশে খার থানাতেই রয়েছেন। তাঁদেরকে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশের অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ বার পিটারকে সামনে রেখে ওই তিন জনকে জেরা করা হতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইন্দ্রাণী গ্রেফতার হওয়ার পর খার থানায় এসে লিখিত বিবৃতি দিতে চেয়েছিলেন পিটার। কিন্তু, পুলিশ সেই সময় তাঁর অনুরোধ মানেনি। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন তাঁকে থানায় ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে রাখা হয়। এর পর মুম্বই পুলিশ পিটারের বাড়িতে যায়। শিনা খুনে তথ্য জোগাড় করতে তল্লাশি চালানো হয় সেখানে। পুলিশের দাবি, সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু পিটারই নয়, এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর বন্ধু ফয়জল আহমেদকেও জেরা করেছে পুলিশ। ফয়জল পিটারকে গাড়ি সরবরাহ করত বলে সূত্রের খবর।