National News

বাবা শিখিয়েছিলেন..., রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্লেষের সুর রাহুলের টুইটে

রাজনৈতিক শিবির বলছে, রাহুলের এই টুইটে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের প্রতি কটাক্ষ স্পষ্ট। বিজেপি তথা সঙ্ঘ ‘ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং আক্রোশের রাজনীতি’ করে বলে রাহুল গাঁধী একাধিক বার মন্তব্য করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ১৫:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাৎপর্যপূর্ণ টুইট কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর। কী শিক্ষা দিয়েছিলেন বাবা রাজীব গাঁধী— সোমবার এক টুইটে সে কথা লিখেছেন রাহুল। কিন্তু রাজীব স্মরণের পাশাপাশি নাম না করে সে টুইটে রাহুল জোরদার কটাক্ষ ছুড়েছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিকেও।

Advertisement

টুইটে কী লিখেছেন রাহুল? লিখেছেন, ‘‘আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন, যাঁরা ঘৃণা বহন করেন, ঘৃণা তাঁদের নিজেদের জন্যই একটা জেলখানা হয়ে ওঠে। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনিই আমাকে শিখিয়েছিলেন সব কিছুকে ভালবাসতে এবং শ্রদ্ধা করতে...।’’ রাজীবের দেওয়া এই ‘শিক্ষা’ হল ‘সন্তানকে একজন বাবার দেওয়া সবচেয়ে মূল্যবান উপহার’— লিখেছেন রাহুল।

রাজনৈতিক শিবির বলছে, রাহুলের এই টুইটে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের প্রতি কটাক্ষ স্পষ্ট। বিজেপি তথা সঙ্ঘ ‘ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং আক্রোশের রাজনীতি’ করে বলে রাহুল গাঁধী একাধিক বার মন্তব্য করেছেন। ‘ঘৃণার রাজনীতি’কে প্রত্যাখ্যান করার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণের পাশাপাশি রাহুল চেষ্টা করেছেন রাজীব গাঁধীর রাজনীতিকে বিজেপি বা সঙ্ঘের রাজনৈতিক ঘরানার ঠিক বিপরীত ‘মডেল’ হিসেবে তুলে ধরতে। বলছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

আজ রাজীবের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালে এই দিনে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে এলটিটিই-র পাঠানো মানববোমা হত্যা করেছিল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে দিনটি। সকালে রাজীবের সমাধি বীরভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।

আরও পড়ুন: ইস্! ১৫টা দিন সময় পেলে... আক্ষেপ অমিতের

রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীর কারণেই আজ শপথ নেয়নি কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডি(এস) সরকার। এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিয়েছেন ২৩ মে-তে।

আরও পড়ুন: পাখির চোখ ২০১৯, জোট গড়ার প্রস্তুতি শুরু রাহুলের

কর্নাটকে বিজেপির সরকার গঠন আটকে দেওয়ার পর কংগ্রেস কর্মীরা তো বটেই, নেতৃত্বও বেশ উজ্জীবিত। শনিবার ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি। রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে কারও নাম করে আক্রমণ তিনি শানাননি। কিন্তু ফের সুর চড়িয়েছেন ‘ঘৃণা’র রাজনীতির বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন