Nagaland

নাগাল্যান্ডে ভোট-সংঘর্ষে নিহত ১, মেঘালয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ৫৯টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ হল মঙ্গলবার। দিনকয়েক আগে মেঘালয়ের উইলিয়ামনগরে এনসিপি প্রার্থী জোনাথন সাংমার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি। আর নাগাল্যান্ডে উত্তর আঙ্গামি কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোট নিয়ে মোবাইলে অভিনব অ্যাপ ছিল। ভাসমান কনসার্ট ছিল। বুথের সামনেও ছিল গানের আসর। পরিচ্ছন্ন ভোটপর্বের জন্য যাজকদের আহ্বান ছিল দুই খ্রিষ্টানপ্রধান রাজ্যে। কিন্তু তার পরেও সে ভাবে বাড়ল না ভোটদানের হার। বিক্ষিপ্ত হিংসায় নাগাল্যান্ডে ১ জনের প্রাণ গেল। জখম হলেন তিন জন। বিস্ফোরণ হল বুথের মধ্যেও।

Advertisement

নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ৫৯টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ হল মঙ্গলবার। দিনকয়েক আগে মেঘালয়ের উইলিয়ামনগরে এনসিপি প্রার্থী জোনাথন সাংমার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি। আর নাগাল্যান্ডে উত্তর আঙ্গামি কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও।

মঙ্গলবার বিকাল চারটে পর্যন্ত আসা হিসেবে নাগাল্যান্ডে ৭৫ শতাংশ ও মেঘালয়ে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে খবর আসা বাকি।

Advertisement

রেলিয়াং কেন্দ্রের কিনডং টিউবারে একটি বুথে যে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট পড়ার অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।

গত বারের বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে ৮৬.৮২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। নাগাল্যান্ডে ৮৩ শতাংশ। এ বছর মেঘালয়বাসীকে আরও বেশি করে বুথমুখী করতে থিম সং, রক কনসার্ট-সহ বিভিন্ন প্রচারের ব্যবস্থা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিও মিউজিক ভিডিওর পিছনে বিস্তর টাকা ঢালে।

গারো পাহাড়ের ত্রাস সোহন ডি শিরাও ভোটের তিন দিন আগে গুলিতে মারা যান। সব মিলিয়ে ইতিবাচক হাওয়ার মধ্যেও রাজ্যে এ বার মোটেই আশানুরূপ ভোট পড়ল না। সমস্যা বাড়ালো সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে ইভিএমের গণ্ডোগোল। অর্ধশতাধিক বুথে যান্ত্রিক ত্রুটিতে থমকে থাকে ভোটপর্ব। সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক বুথে ভোট নেওয়া চলে।

পরিচ্ছন্ন ভোটের বার্তা দেওয়া নাগাল্যান্ডে এ দিন সকাল থেকেই অশান্তি ছড়ায়। মন জেলার টিজিট টাউনে বুথের মধ্যে বোতল গ্রেনেড বিস্ফোরণ হওয়ায় বিজেপির প্রতিনিধি ইয়াংলাং কন্যাক গুরুতর জখম হন। জুনহেবটো জেলার আকুলুতো টাউনে বিজেপি ও এনপিএফ সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারপিট হয়। তখনই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু হয়। রিজার্ভ ব্যাটালিয়নও গুলি চালায়। তাতে দুই এনপিএফ কর্মী জখম হন। মককচং জেলার মংসেনিমটি গ্রামে মহিলাদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দু’টি বুথে ইভিএম ভাঙচুর হয়।

আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্যের পরীক্ষা রাজ্যসভায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন