গুজরাতে প্রথম দফার ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে ক্ষোভের বিস্ফোরণ শাসক দল বিজেপির অন্দরেই।
নরেন্দ্র মোদী জমানায় কৃষকদের প্রতি অবিচারের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন বিজেপি সাংসদ নানা পাটোলে। আর গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের স্বামী মফতলাল পটেলের পুরনো একটি চিঠি সামনে এসেছে, যাতে তিনি খোদ মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধেই নানা কথা বলেছেন।
এনসিপি-র ক্ষমতাধর নেতা প্রফুল্ল পটেলকে বিপুল ভোটে হারিয়ে লোকসভায় এসেছিলেন নানা পাটোলে। কিন্তু ক’বছর ধরেই কৃষকদের প্রতি উপেক্ষার অভিযোগ করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিদর্ভে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা যশবন্ত সিন্হার সঙ্গে মিলে কৃষক আন্দোলনের নেপথ্যেও ছিলেন পাটোলে। নানা-ই মন্তব্য করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কারও কথা শোনেন না। লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে আজ চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দেন, ইস্তফা দিচ্ছেন। পরে দিল্লিতে কংগ্রেসের কৃষক নেতা মোহন প্রকাশের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, রাহুল গাঁধীর দলে যোগ দিতে চলেছেন পাটোলে।
গুজরাতে ভোটের আগের দিন এই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই আর একটি বিষয় কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্বের। এত দিনে সামনে এসেছে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা একটি চিঠি। লিখেছিলেন বিজেপির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের স্বামী মফতলাল। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দিল্লি থেকে রাজ্যের পুলিশকে প্রভাবিত করে পাতিদারদের উপর গুলি চালাতে বাধ্য করেছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে এই কাজ হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি!
গুজরাতে পাতিদারদের সংগঠিত করে মোদীকে এখন বেগ দিচ্ছেন হার্দিক পটেল। পাতিদারদের উপর গুলি চালানোর ক্ষোভ দগদগে। বছর দুয়েক আগে এই ঘটনার সময়েই রাজ্যে গুঞ্জন ছড়ায়, আনন্দীবেনকে গদি থেকে সরাতে কলকাঠি নেড়েছেন অমিতই। মফতলালের চিঠিতেও তাই রয়েছে। কিন্তু ভোটে পুরনো চিঠিটিই অস্ত্র বিরোধীদের। বিজেপি নেতারা অবশ্য বলছেন, বিরোধীদের চক্রান্ত। মানুষ বিজেপিকেই ভোটটা দেবে।