বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিহারের পূর্ণিয়া-সহ চার জেলা আজ আকাশপথে ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে বন্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যকে ৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা পূর্ণিয়াতে দাঁড়িয়েই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করতে শীঘ্রই একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিহারে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান। সেই দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও, বন্যায় মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে এককালীন সহায়তার কথাও তিনি ঘোষণা করেন।
এ দিন, পূর্ণিয়ার চুনাপুর এয়ারবেসে প্রধানমন্ত্রীর বিমান নামে। সেখানে নীতীশ কুমার তাঁকে স্বাগত জানান। উল্লেখ্য, বিহারে এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মোদী বিহারে এলেন। আকাশ থেকে বন্যা পরিস্থিতির সমীক্ষার পর ওই এয়ারবেসেই প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী সুশীল মোদী, মুখ্যসচিব অঞ্জনীকুমার সিংহ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। ৪৫ মিনিটের এই বৈঠকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিশদ বিরণ শোনেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি বছর বিহারে বন্যার বিভীষিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বন্যার স্থায়ী মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার এক সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে চলা বন্যায় প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা চারশোর উপরে। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহারা। এখনও জলবন্দি রয়েছে কয়েক হাজার গ্রাম। এই অবস্থায় রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাজ্যের আধিকারিকেরা। কৃষি ক্ষেত্রে ২১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে রাজ্যের দাবি। এ ছাড়া ২১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার জন্য ৭৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন বলে জানায়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের এই দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়ে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।