ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী। রবিবার। ছবি: পিটিআই
মোদী-যোগী যুগে হিন্দুত্বের চড়া দাগে ভারসাম্য আনতে সংখ্যালঘুদের মন ছুঁতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় কর্মসমিতির শেষ দিনে দু-দু’বার মুসলিমদের পাশে টানার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
একবার তিন তালাকের প্রসঙ্গ তুলে মুসলিম মহিলাদের প্রতি সুবিচারের কথা বললেন। অন্য বার বললেন ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্নে পিছিয়ে পড়া মুসলিমদেরও সঙ্গে নিয়ে তাঁদের সামাজিক ন্যায় দেওয়ার কথা।
অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সাংবিধানিক মর্যাদাপ্রাপ্ত জাতীয় কমিশন তৈরির জন্য লোকসভায় বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। তা আটকে গিয়েছে রাজ্যসভায়। ভুবনেশ্বরের বৈঠকে ওবিসি নিয়েই পেশ হল প্রস্তাব। সেখানেই মোদী বললেন, মুসলিমদের পিছিয়ে পড়া অংশকেও এতে টানতে হবে। কারণ, এতে সুবিধাভোগী তাঁরাও।
আরও পড়ুন- বিমান হাইজ্যাকের আশঙ্কা, হাই অ্যালার্ট মুম্বই, চেন্নাই হায়দরাবাদ এয়ারপোর্টে
সমাপ্তি বক্তৃতায় তিন তালাকের প্রসঙ্গ টেনে মুসলিম ‘বোন’দের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে মোদীর বক্তব্য, শোষণের বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলাদের সজাগ করাই তাঁর উদ্দেশ্য।
বিজেপি সূত্রে দাবি, উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পর গোটা দেশে প্রভাব বাড়াতে চাইছেন মোদী। সে জন্য তাঁর বক্তৃতায় প্রাধান্য পেয়েছে সামাজিক, আর্থিক, শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উত্থান। মোদীর বক্তব্য কাজ করতে হবে গরিব মুসলিমদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে।
মোদী বললেও সংখ্যালঘু নিয়ে দলের নেতাদের মনোভাব কী? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেমন বললেন, ‘‘রাজ্যে সংখ্যালঘুদের ওবিসির সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এটি শুধু হিন্দুদের জন্য। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’’