প্রতীকী ছবি।
দেশের পশ্চিম সীমান্ত পেরিয়ে বায়ুসেনার অভিযান নিয়ে যখন বিশ্বমঞ্চ তোলপাড়, তখনই দেশের পূর্বাংশে জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি দিল্লির। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলা মায়ানমার সেনার অভিযানে সে দেশে থাকা প্রায় সব জঙ্গি ঘাঁটি উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের দাবি। সেইসঙ্গে ভারতীয় ও মায়ানমার সেনা একযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে ঘাঁটি গাড়া আরাকান জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও বড় সাফল্য পেয়েছে বলেও দাবি সেনা সূত্রের। সরকারি ভাবে গোটা বিষয়টিকে মায়ানমার সেনার অভিযান হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
গত কয়েক দশক ধরে, মায়ানমারের সাগায়িং ডিভিশনের টাগায় ঘাঁটি বানিয়ে ভারতে নাশকতা চালাচ্ছিল নাগা জঙ্গিরা। টাগায় স্বশাসিত এলাকা ছিল খাপলাং গোষ্ঠীর। ছিল সে দেশের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি। ২০১৭ সালে খাপলাংয়ের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি মণিপুরি নেতা ইয়ুং অং সংগঠনের দায়িত্ব নেয়। ইয়ুং আদতে মণিপুরের মিতেই জনজাতির সদস্য। ভারত মায়ানমারকে যুক্তি দেয়, এক জন মণিপুরি নেতার অধীনে থাকা ও এখন সংঘর্ষবিরতিতে না থাকা সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান করা যেতেই পারে।
এর পরেই চলতে থাকে অভিযান। টাগা পুরোপুরি দখল করে সেখানে স্থায়ী সেনা শিবির বসিয়েছে মায়ানমার। নাগা জঙ্গি নেতাদের আটক করা হয়েছে। ভারতীয় জঙ্গিদের উৎখাত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে মায়ানমার সেনার মাথাব্যথার কারণ আরাকান আর্মিকে দমনেও ভারতীয় বাহিনী তাদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় সেনা সূত্রের দাবি, চিন মায়ানমারের মাটিতে ভারতীয় জঙ্গিদের পাশাপাশি মায়ানমার জঙ্গিদেরও মদত দিচ্ছে দিয়ে শক্তিশালী করেছে। তাই সে দেশে জঙ্গি দমনে মায়ানমার ও ভারতীয় সেনার হাত মেলানো চিনের কাছেও কড়া বার্তা।