মোদীর মিনতি, দোহাই সংখ্যার জোরে উন্নয়ন রুখবেন না

রাজ্যসভায় আবেদন জানিয়েছেন। এ বার সংসদের বাইরে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে কার্যত মিনতি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় জমি বিল পাশ করানোর ব্যাপারে বিরোধীদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানালেন অনেকটাই নরম সুরে। অধ্যাদেশ জারি করে দেওয়ার পরে এখন জমি বিল পাশ করাতে গিয়ে ভাল রকম বেকায়দায় পড়েছে তাঁর সরকার। কৃষক-বিরোধী তকমা ভাবমূর্তিতেও আঁচ ফেলছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৬
Share:

রাজ্যসভায় আবেদন জানিয়েছেন। এ বার সংসদের বাইরে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে কার্যত মিনতি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় জমি বিল পাশ করানোর ব্যাপারে বিরোধীদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানালেন অনেকটাই নরম সুরে।

Advertisement

অধ্যাদেশ জারি করে দেওয়ার পরে এখন জমি বিল পাশ করাতে গিয়ে ভাল রকম বেকায়দায় পড়েছে তাঁর সরকার। কৃষক-বিরোধী তকমা ভাবমূর্তিতেও আঁচ ফেলছে। এই অবস্থায় গত কালই সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, সরকার ওই বিলে কিছু সংশোধন করতে প্রস্তুত। তাই বিলের সঙ্গে একটি সংশোধনীও সংসদে পেশ করা হবে সোমবার। এর পরে আজ মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের উদ্দেশে বললেন, “এটা ঘটনা, রাজ্যসভায় আমাদের গরিষ্ঠতা নেই। আপনাদের সমর্থন ছাড়া উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব নয়। প্রকাশ্যে আপনাদের কাছে মিনতি করছি, দোহাই সংখ্যার জোরে দেশের উন্নয়নের চাকা স্তব্ধ করে দেবেন না।”

বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “আমি কখনওই কৃষকদের বিরুদ্ধে কিছুই করব না। আমরা সব দলকে বলেছিলাম, আপনারাও বলুন (জমি বিলটিকে) আরও ভাল করে তুলতে কী করা যেতে পারে। কিন্তু তারা কিছুই বলেনি।”

Advertisement

আজ জমি বিলের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউপিএ আমলে তৈরি জমি অধিগ্রহণ আইনটির কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য, গরিবদের জন্যই রাস্তাঘাট, স্কুল, হাসপাতাল, আবাসন, জল প্রকল্প গড়া জরুরি। অথচ আগের সরকার যে আইন করেছিল, তাতে ওই সবের জন্য জমি অধিগ্রহণের কোনও রাস্তাই রাখা ছিল না। চাষির জন্য সেচ প্রকল্প গড়াও সম্ভব ছিল না ওই আইনে।

যদিও সেই আইন বদলে যে অধ্যাদেশ মোদী সরকার জারি করেছে, তাতে স্রেফ কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বার্থই দেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের। এমনকী, সরকারের শরিক ও বন্ধু দলগুলিরও এই বিল নিয়ে আপত্তি রয়েছে। সকলকে আলাদা আলাদা করে বুঝিয়েও ফল হচ্ছে না দেখে চাপের মুখে সরকার ওই সব শর্ত কিছুটা শিথিল করতে রাজি হয়েছে।

কিন্তু মোদী জানেন, বিরোধীরা যে কোনও ভাবে তাঁর সরকারকে কোণঠাসা করতে মরিয়া। যে কারণে, রাজ্যে পরস্পরের কট্টর বিরোধী হয়েও তৃণমূল এবং সিপিএম বাকি বিরোধীদের সঙ্গে একজোট হয়ে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার উপরে সংশোধনী প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুকৌশলে মোদী আজ দেশবাসীর কাছে এই বার্তাই দিতে চাইলেন যে, সরকার কাজ করছে গরিব ও কৃষকদের জন্যই। সরকার নমনীয় হওয়া সত্ত্বেও বিরোধীরা স্রেফ বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করছেন। তাঁরাই উন্নয়নের পথে বাধা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement