প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
গত বছর লালকেল্লা থেকে দেওয়া স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় পাকিস্তান এবং চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গিলগিট, বালুচিস্তান, বালটিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে নয়াদিল্লির সখ্যের উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। যেহেতু এই জায়গাগুলির উপর দিয়ে প্রস্তাবিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর যাওয়ার কথা তাই নড়েচড়ে বসেছিল বেজিংও। ঠিক এক বছর পর, প্রতিবেশী-নীতির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব কি ঠিক এতটাই আগ্রাসী ?
আরও পড়ুন: শেষলগ্নে মোদী-মেল
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আগামিকালের বক্তৃতায় চিনের নাম করে কোনও পেশী আস্ফালন থাকছে না। সেনাদের মনোবল বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা থেকে মোদী যেটুকু বলার বলবেন। দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে ভারতীয় সেনা সক্ষম, এই বার্তা দেওয়া হবে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বিদেশনীতির প্রশ্নে অনেকটা কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী। আপাতত ডোকলামকে কেন্দ্র করে সরকারের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আজ সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একটি বিতর্কিত খবর ঘিরে। রটে যায় লাদাখে সেতু তৈরির কাজ শুরু করছে চিন। পরে অবশ্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ খবর ভিত্তিহীন। কিন্তু দু’দেশের উত্তেজনা যে টানটান পর্যায়ে রয়েছে সে কথা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহার কবে অথবা কোন সূত্রে করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি একই সঙ্গে এই উত্তেজনা যাতে কমে তার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে ভারতের পক্ষ থেকে।
১৫ অগস্ট, প্রজাতন্ত্র দিবস, চিনা সেনার বার্ষিকীর মতো দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারত এবং চিনের আনুষ্ঠানিক সীমান্ত বৈঠক করার রেওয়াজ। জায়গাগুলি হল, লাদাখের দৌলত বেগ, চুশুল, ওলদাই, অরুণাচল প্রদেশের বুম লা এবং কিবিথু, সিকিমের নাথু লা। প্রত্যেক বছর এই শান্তি বৈঠক হলেও এ বার ১ অগস্ট চিনা সেনার বার্ষিকীতে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারতীয় সেনা কিন্তু চিনা সেনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আগামিকালের সীমান্ত আলোচনার জন্য। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত চিন আমন্ত্রণ স্বীকার করেনি। বেজিং শেষ পর্যন্ত চিনা সেনার প্রতিনিধি পাঠায় কি না সে দিকে নজর রাখছে সাউথ ব্লক।