তেলুগু নববর্ষ উপলক্ষে বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বাড়ির অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় নরেন্দ্র মোদীর। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ সকালে রেডিও-র ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের গোড়াতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মোদী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লড়াইয়ে জয় পেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত বাংলাদেশের এক মজবুত সঙ্গী, চমৎকার বন্ধু। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে দু’দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। মোদী বলেন, দু’দেশের জাতীয় সংগীতই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি। ১৯১৩ সালে নোবেল পাওয়া এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি শুধু নন, ইংরেজরা নাইটহুডও প্রদান করে রবীন্দ্রনাথকে। কিন্তু ১৯১৯-এ জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ বাহিনীর গণহত্যার পর এই রবীন্দ্রনাথই সরব হয়ে সেই নাইটহুড প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, আসলে শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বড়সড় কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তার পরেও এপ্রিলের এই সফর যাতে দু’দেশের সম্পর্কের একটা মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে, সে জন্য রাতভর কাজ করছে সাউথ ব্লক। নিরন্তর চলছে কূটনৈতিক আদান-প্রদান। সেনাপ্রধান হরিশ রাওয়াত ঢাকা যাচ্ছেন এ মাসের ৩০ তারিখে। সাউথ ব্লক জানে, হাসিনাও হাতে কিছু ‘সাফল্য’ নিয়ে ফিরতে চান। তার আগে বন্ধুত্বের একটি বার্তা দিয়ে রাখলেন মোদী।