শিরডিতে সাঁইবাবা মন্দিরে প্রার্থনা নরেন্দ্র মোদীর। পিটিআই
ফের নাম না করে গাঁধী পরিবারকে তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের শিরডিতে সাঁইবাবার মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে নাম না করে ফের রাহুল গাঁধীকে একহাত নেন তিনি। মোদীর দাবি, কংগ্রেস সরকার দারিদ্র দূর করার চেয়ে একটি বিশেষ পরিবারের প্রচার করতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। তবে ধর্মস্থানে গিয়েও এ ভাবে রাজনীতি করা নিয়ে অনেকেই মোদীর সমালোচনা করেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বেশ কিছু দিন ধরেই রাফাল ও প্রতিরক্ষা নিয়ে মোদীকে তুলোধনা করছেন। তা নিয়ে মুখ না খুললেও শুক্রবার আগের ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে মোদী বলেন, তাঁর সরকার অনেক বেশি গরিবকে আশ্রয় দিতে পেরেছে। মোদীর দাবি, ‘‘ইউপিএ সরকার তাদের শেষ চার বছরে গরিবদের জন্য মাত্র ২৫ লক্ষ ঘর তৈরি করেছিল। যেখানে এনডিএ সরকার চার বছরে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ঘর বানিয়েছে।’’
মোদীর দাবি, ‘‘পুরনো সরকার উদ্যোগী হয়নি, এমনটা নয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সে সমস্তটাই একটি বিশেষ পরিবারের নাম প্রচার করতে কেটে গিয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পেয়েছেন এমন বেশ কয়েক জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দার সঙ্গে এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন মোদী। বেশ কিছু মানুষের হাতে বাড়ির প্রতীকী চাবিও তুলে দেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্যসুরক্ষা প্রকল্প শুরু হওয়ার এক মাসের মাথায় অন্তত ১ লক্ষ মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন। মোদীর দাবি, এই প্রকল্পে ৫০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। যদিও অর্থনীতিবিদেরা হিসেব কষে দেখিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু বরাদ্দ থাকবে মাত্র কয়েক টাকা!
মোদীর এ দিনের দাবি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও বিরোধীদের দাবি, এই জমানায় দলিতরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ক্রমশ সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। কর্মসংস্থান প্রায় শূন্য। তার মধ্যে রয়েছে রাফালের মতো দুর্নীতি। সে সব অভিযোগ চাপা দিতেই গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করছেন মোদী।