নয়ডায় হেনস্থা রুখতে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আজ সংসদ ভবনে মোদীর সঙ্গে দেখা করে অধীর বলেন, ভাষাগত মিল থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ও বাংলাদেশিদের এক করে ফেলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৭ ০৪:০৩
Share:

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাসিন্দাকে হেনস্থা হতে দেওয়া হবে না বলে জানালেন নরেন্দ্র মোদী। নয়ডার পরিচারিকা নিগ্রহ নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে আজ সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

গত সপ্তাহে নয়ডার একটি আবাসনে এক পরিচারিকা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ওই আবাসনের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মার ইন্ধনে ওই পরিচারিকা ও তাঁদের পড়শিদের বাংলাদেশি বলে তাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিজেপির ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে। এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও। তার পরেই মোদীকে বিষয়টি জানাতে উদ্যোগী হন অধীর।

আজ সংসদ ভবনে মোদীর সঙ্গে দেখা করে অধীর বলেন, ভাষাগত মিল থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ও বাংলাদেশিদের এক করে ফেলা হয়। আগে মহারাষ্ট্রে হয়েছে। এখন নয়ডায় হচ্ছে। অথচ, রুটি-রুজির খোঁজে আসা এই মানুষগুলি আসলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গোটা বিষয়টিতে তাঁর মন্ত্রীদের ইন্ধন রয়েছে বলেও মোদীর কাছে অভিযোগ করেন অধীর। তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, বিতর্কটি তাঁর কানে এসেছে। মোদীর আশ্বাস, কে কোন ধর্মের তা তিনি দেখবেন না। পশ্চিমবঙ্গের যারা বাসিন্দা, তা সে হিন্দুই হোক বা মুসলিম, কারও সমস্যা তিনি হতে দেবেন না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: অসম্মান করতেই নারদ, সারদা

যাকে ঘিরে গণ্ডগোলের শুরু সেই জোহরা বিবি বা তাঁর পড়শিদের দাবি তাঁদের বাড়ি কোচবিহারে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার কার্ডও রয়েছে তাঁদের। তবু উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার তাঁদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাড়ি-ঘর ভেঙে দিয়েছে। হুমকি দিচ্ছে গ্রেফতারিরও। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষের এই হেনস্থা মেনে নেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহে সংসদে বিষয়টি তোলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন