পাক আর্থিক মদতে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর জন্য আট বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়েছেন কট্টরপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নাসিম।
নাসিম শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এনআইএ-র সমন পেয়ে সংস্থার প্রধান শরদ কুমারকে চিঠি লেখেন নাসিম। তাতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, তাঁকে সরাসরি সমন পাঠানোর বদলে এনআইএ-র উচিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দফতরে তিনি চাকরি করেন সেই দফতর মারফত তাঁকে সমন পাঠানো। এতে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য তিনি দফতর থেকে ভ্রমণ ভাতা পাবেন।
সংস্থার পক্ষ. থেকে জানানো হয়েছে, অসংখ্য সন্ত্রাসের তদন্ত করে তারা। কিন্তু এমন অনুরোধ এই প্রথম। এনআইএ-র এক অফিসার জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই নাসিমের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তাঁকে সমন পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে এনআইএ অফিসারেরা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাওয়া আসার খরচ নেওয়া নাসিমের মূল উদ্দেশ্য নয়। সম্ভবত তিনি জেরার সময়ে ভগ্নীপতি আলতাফ আহমেদ শাহ ফান্টুশের মুখোমুখি বসতে নারাজ। ফান্টুশের সঙ্গে নাসিমকে বসিয়ে জেরা করলে অনেক গোপন তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ, এই জেরা এড়াতেই হাজিরা এড়িয়েছেন নাসিম। তাঁর দাদা নইমও এ বার হাজির হননি।
আর এক সন্দেহভাজন, নসিমের দাদা নঈমও অসুস্থতার অজুহাতে এ বারের মতো সমন এড়িয়ে গিয়েছেন।
একই অভিযোগে হুরিয়ত নেতা সাবির শাহকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় সাবির জানিয়েছেন পাকিস্তান থেকে আসা আর্থিক সাহায্যের সিংহভাগটা গিলানিই নেন। সাবির নাকি মাঝপথ থেকে গিলানিকে সরিয়ে সরাসরি তাঁর সঙ্গেই লেনদেন করতে অনুরোধ করেছিলেন।