নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। ছবি: পিটিআই।
অন্য দলের রাজনীতিকদের বাড়ির সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ, ধর্না দেওয়ার রাজনীতি করেছিলেন তিনি। এখন সেসবই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে অরবিন্দ কেজরীবালেরই দিকে। তাঁর দলের নেতারাই নানা বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় আজ বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে কেজরীকে। দিল্লি থেকে পঞ্জাব— বৃহস্পতিবার যেখানেই গিয়েছেন তিনি, বিক্ষোভের আঁচ তাড়া করে ফিরেছে তাঁকে।
তবে যাবতীয় গণ্ডগোলের নেপথ্যেই যে পঞ্জাবের আসন্ন নির্বাচন, তাতে সন্দেহ নেই। ভোটের হাওয়া গরম করে তুলতে আজ লুধিয়ানা যাওয়ার কথা ছিল কেজরীর। সকাল সাতটা নাগাদ নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সাতসকালেও সেখানে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা। দিল্লি বিজেপির মহিলা শাখার নেত্রী কমলজিৎ শেরাওয়াতের নেতৃত্বে কেজরী-বিরোধী শ্লোগান শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চুড়ি দেখান বিজেপি সমর্থকরা। আপ নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার যে সব অভিযোগ আসছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ খোলার জন্য দাবি করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরে আপের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেজরীবালকে হেনস্থা করতে পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে ছিল। ঘটনাটি নরেন্দ্র মোদী ও দিল্লি পুলিশের চক্রান্ত। তবে বিজেপি পাল্টা বলেছে, যাঁরা মানুষের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলে বেড়াতেন, তাঁরাই এখন রাজনৈতিক প্রতিবাদকে আক্রমণ হিসেবে তুলে ধরছেন। কেজরীকে নিয়ে শতাব্দী এক্সপ্রেস লুধিয়ানা স্টেশনে পৌঁছতেই ফের স্লোগান শুরু হয়। নেতৃত্বে অকালি দলের যুব সংগঠন ও পঞ্জাবের মহিলা কংগ্রেসের সদস্যরা। কেজরী যখন বিক্ষোভের মুখে, তখন পঞ্জাবে নতুন দলের ঘোষণা করেছেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। দলের নাম রেখেছেন আওয়াজ-ই-পঞ্জাব।