নভজোৎ সিংহ সিধু
দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেলেন ঠিকই। তবে তা স্বস্তি আনল নভজোৎ সিংহ সিধুর রাজনৈতিক জীবনে!
৩০ বছরের পুরনো অনিচ্ছাকৃত খুনের একটি মামলায় সিধুকে মাত্র ১০০০ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পঞ্জাবের পর্যটন মন্ত্রীকে। শুধুমাত্র ৩২৩ ধারায় ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার অভিযোগে সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বর এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কাউলের বেঞ্চ।
১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাটিয়ালার রাস্তায় গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিধু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রূপিন্দর সিংহ সাঁধু নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, পার্কিংকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলায় ৬৫ বছরের গুরনামকে চড় মারেন সিধু। এর পর গোলমাল বুঝে সেখান থেকে চলে যান তাঁরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গুরনামকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সিধুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, গুরনামের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এই ঘটনার এক দশক পরে, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে সিধুকে রেহাই দিয়েছিল পাটিয়ালা দায়রা আদালত। সেই রায় খারিজ করে ২০০৬ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিধুকে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টে সাজার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী। হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখলে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হত সিধুকে। রায় জানার পর আজ তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র, আর কিছুই নয়।’’