উপকূল নিরাপত্তায় ওড়িশায় মহড়া চালাল নৌ সেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই মহড়ায় হাজির ছিল ওড়িশার পুলিশ এবং কয়েকটি দফতরও। ছিলেন কাস্টমস এবং বন্দরের অফিসারেরাও। উপকূলরক্ষী বাহিনীর কলকাতা সদর দফতরের মুখপাত্র অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট অভিনন্দন মিত্র জানান, এই মহড়ার পোশাকি নাম ‘হামলা’। ১৮ ও ১৯ নভেম্বরের ওড়িশা উপকূলের ‘হামলা’য় তাদের দু’টি বিমান এবং ৬টি জাহাজ ছাড়াও নৌ সেনার একটি জাহাজ ছিল। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এই মহড়া হবে।
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর জানা গিয়েছিল, মৎস্যজীবী সেজে মুম্বই উপকূল দিয়ে ঢুকেছিল আজমল কাসভের মতো জঙ্গিরা। তার পর থেকেই উপকূল নিরাপত্তার উপরে জোর দেওয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ ও উপকূলের সঙ্গে সম্পর্কিত দফতরগুলিকেও সামিল করা হয়। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদেরও নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন করা হয়।
কী ভাবে চালানো হয় মহড়া?
উপকূলরক্ষী বাহিনীর অফিসারেরা জানাচ্ছেন, এই মহড়ায় দু’টি দল গঠন করা হয়। একটি দল থাকে আক্রমণকারীর ভূমিকায়, অন্যটি রক্ষীর ভূমিকায়।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক কম্যান্ডার কে আর নটিয়াল মনে করেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকারের দফতরগুলির সমন্বয় জোরদার হওয়া প্রয়োজন। ওড়িশার মহড়ায় তিনি এ বিষয়ে আরও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।