Tiljala Murder

‘কী লুকোতে চায় বাংলা?’ তিলজলাকাণ্ডের তদন্তে বাধা পেয়ে প্রশ্ন কেন্দ্রের শিশুসুরক্ষা কমিশনের

তিলজলার ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিশনের কাছে একটি চিঠি যায়। যার শেষ অংশ নিয়ে বিতর্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫২
Share:

রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।

তিলজলাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্যের কমিশনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের তরফে চিঠি দিয়ে তিলজলার ঘটনায় কেন্দ্রকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যা দেখে কেন্দ্রীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক কী লুকোতে চায়?’’

Advertisement

তিলজলায় সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করার ঘটনায় সোমবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে নোটিসও পাঠিয়েছিল তারা। উদ্বেগের কথা জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রিয়াঙ্ক। তিলজলার ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে।

তার পর রাজ্যের শিশুসুরক্ষা কমিশনের তরফে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিশনের কাছে একটি চিঠি যায়। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের উদ্বেগ প্রশংসনীয়। কিন্তু যে হেতু রাজ্যের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাই কেন্দ্র থেকে তদন্তের জন্য নতুন করে দল পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কলকাতা এবং মালদহে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিশন।

Advertisement

রাজ্যের কমিশনের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে তা-ও বিস্তারিত জানিয়েছেন রাজ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। তিনি জানান, তিনি নিজে মূল ঘটনার পরের দিন শিশুটির বাড়িতে গিয়েছেন, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে যাতে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়, তা নিশ্চিত করবে রাজ্য কমিশন, চিঠিতে সেই আশ্বাস দিয়েছেন সুদেষ্ণা। কিন্তু বিতর্ক চিঠির শেষাংশ নিয়ে।

শেষে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রের কমিশনের বাংলায় এসে তিলজলাকাণ্ডের তদারকি করার কোনও প্রয়োজন নেই।

প্রিয়াঙ্ক এর প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক কী লুকোতে চায়? আমাদের বাংলা সফরে ওরা কখনও খুশি ছিল না। কিন্তু এ বার তো ওরা আমাদের সরাসরি বাধা দিচ্ছে! ওই রাজ্যে শিশুদের অবস্থা কতটা শোচনীয়, এর থেকেই বোঝা যায়। আমরা যাবই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন