রাহুল গাঁধীর আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বিপুল ধ্বনিভোটে জয় হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের। সরকারের পক্ষে ৩২৫ জন সাংসদ আস্থা প্রকাশ করেন। অন্য দিকে, অনাস্থা জানান ১২৬ জন সাংসদ।
শুক্রবার প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা সংসদের অধিবেশনের পর লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ধ্বনিভোটের আহ্বান জানান। সেই ভোটাভুটিতে জয় হয় এনডিএ সরকারের। সরকারের এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল। তবে বিরোধীরা কতটা জোটবদ্ধ ছিল তা বুঝে নেওয়ার পরীক্ষাই যেন ছিল এই অনাস্থা প্রস্তাব। বিরোধী শক্তি যে এখনও ততটা মজবুত নয়, তা স্পষ্ট হল। অন্য দিকে, অধিবেশনের এনডিএ সরকারের পাশে শিবসেনা এবং বিজেডি সাংসদের না পেলেও বিপুল ভোটে জয় হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের।
এ দিন সকাল ১১টায় তেলুগু দেশম, কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক শুরুর আগেই নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি-র সাংসদেরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। এর আগেই এনডিএ-র আর এক শরিক শিবসেনাও গোটা বিতর্ক থেকে সরে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন
চোখ মেরে কি প্রিয়া প্রকাশের চেয়েও ভাইরাল রাহুল গাঁধী?
গোটা দিন বিতর্কের পর রাত ৯টা নাগাদ সংসদে বলতে উঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস তথা রাহুল গাঁধীর আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের ভাষণে বলতে উঠে এনডিএ সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি, রাহুল গাঁধীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধীরা যে কেবলমাত্র নেতিবাচক রাজনীতি করছে তা অভিযোগ করেন মোদী। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, এটি আসলে সরকারের নয়, বরং বিরোধী জোটের পরীক্ষা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের উদ্দেশে মোদীর মন্তব্য, “২০২৪-এ ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনুন। তার জন্য শুভকামনা রইল।”
আরও পড়ুন
দেখুন ভিডিয়ো: লোকসভায় আচমকা আলিঙ্গন, ‘পাপ্পু’র বদলে মোদীকে ‘ঝাপ্পি’ রাহুলের
এ দিন গোটা দিন প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল গাঁধীর আলিঙ্গন নিয়ে চর্চা চলেছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। রাহুল তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আক্রমণের নিশানা বানিয়েছিলেন। রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ফরাসি প্রেসি়ডেন্ট তাঁকে জানিয়েছেন, ওই চুক্তি ভারত সরকার ইচ্ছা করলেই প্রকাশ করতে পারে।” যদিও পরে ফরাসি সরকারের তরফে জানানো হয়, ওই চুক্তির তথ্য কোনও দেশই প্রকাশ্যে আনতে পারবে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শুধু চৌকিদার নন, ভাগীদার।” রাহুলের সেই মন্তব্যের উত্তরে মোদী বলেন, “আমি চৌকিদার-ভাগীদার বটে, তবে উন্নয়নের। আপনাদের মতো সওদাগর নই।” পাশাপাশি, রাফাল চুক্তি নিয়ে রাহুলের মন্তব্য শিশুসুলভ বলে দাবি করেন মোদী।