নোট বাতিল, নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে তোলাবাজি বন্ধ হওয়ায় ভাঁড়ারে টান পড়েছে। টাকা জোগাড়ে তা-ই মানস, কাজিরাঙার গন্ডারের দিকে নজর পড়েছে এনডিএফবি জঙ্গিনেতার!
আঁড়ি পেতে জঙ্গিদের সঙ্কেত ঘেঁটে এমনই তথ্য পেয়েছেন অসমের গোয়েন্দার। পুলিশের বক্তব্য, যত বেশি সংখ্যক গন্ডারের খড়্গ বিক্রি করে সংগঠনের কোষাগার ভরতে নির্দেশ দিয়েছে এনডিএফবি সেনাধ্যক্ষ জি বিদাই।
এতে শঙ্কিত অসম প্রশাসন। আজ বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম।
জঙ্গিদের আদানপ্রদান করা তথ্যে স্পষ্ট হয়েছে— নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারিতে ভারতের মাটিতে ঘাঁটি গড়ে নাশকতা ছড়াতে দিনদিন সমস্যা বাড়ছে। চাপ বাড়াচ্ছে ভুটান। আলফা-এনএসসিএনের সঙ্গে যোগাযোগ আগের মতো নিয়মিত নয়। লিঙ্কম্যানদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারছে না এনডিএফবি। বন্ধ তোলাবাজি। নোট-বাতিলের জেরে ব্যাঙ্কে টাকা বদলেও সঙ্কট। কমেছে খাবার। তহবিল প্রায় খালি। নতুন সদস্য আসা দূরের কথা, শিবির ছেড়ে পালাচ্ছে অনেক জঙ্গি। এই পরিস্থিতিতে মানস জঙ্গলের গন্ডার মেরে টাকা জোগাড়ের ফন্দি করেছে বিদাই।
এ দিন বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল খালেকের প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের এডিজি পল্লব ভট্টাচার্যের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বনমন্ত্রী জানান, সংগ্রামপন্থী এনডিএফবির সেনাধ্যক্ষ সংগঠনের জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছেন, যে ভাবে হোক, মানসে গন্ডার মারতে হবে। কারণ খড়্গ বিক্রি করে কম সময়ে মোটা টাকা পাওয়া সম্ভব। তবে বনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, গন্ডারের চোরাশিকার রুখতে বনরক্ষীদের আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। সেনা, পুলিশ ও এসএসবিকে সতর্ক করা হয়েছে।
২০১১ সালে মানসে গন্ডার প্রতিস্থাপন করা হয়। এখন সেখানে ৩৩টি গন্ডার আছে। গত ৬ বছরে সেখানে ১০টি গন্ডারের চোরাশিকার করা হয়েছে। সরকারি হিসেবে, রাজ্যে এখন গন্ডারের সংখ্যা ২ হাজার ৬২৪টি। কাজিরাঙায় রয়েছে ২ হাজার ৪০১টি গন্ডার।