SEBI

মাধবীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ! সেবির দায়িত্ব পাওয়ার পরেও বেসরকারি ব্যাঙ্কের বেতন নিয়েছিলেন?

অভিযোগ, ২০২৪ পর্যন্ত নিয়মিত ওই ব্যাঙ্ক থেকে বেতন ওই অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন মাধবী। এর মধ্যে ২০২২ থেকে সেবির চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০৭
Share:

সেবি-প্রধান মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।

হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের আবহেই শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। দেশের প্রধান বিরোধী দলের তরফে সোমবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সেবির পরিচালন পর্ষদের পূর্ণ সময়ের সদস্য হওয়ার পরেও নিয়মিত ভাবে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেতন নিয়ে গিয়েছেন! কংগ্রেস নেতা পবন খেড়ার অভিযোগ, সরকারি নিয়ামক সংস্থার পদে থেকে মাধবীর এই কাজ বেআইনি। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে স্বার্থের সংঘাত অনিবার্য।’’

Advertisement

২০১৭ সালে সেবির পরিচালন পর্ষদের সদস্য হয়েছিলেন মাধবী। তার আগে এক দশকেরও বেশি ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন তিনি। খেড়ার অভিযোগ, ২০২৪ পর্যন্ত নিয়মিত ওই ব্যাঙ্ক থেকে বেতন ওই অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন মাধবী। এর মধ্যে ২০২২ থেকে সেবির চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচ্চ পদাধিকারী অন্য কোনও সংস্থা থেকে অর্থ নিলে, তা সরাসরি সেবির ৫৪ নম্বর ধারার লঙ্ঘন।’’ যদিও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে সোমবার কংগ্রেসের ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পর্ষদে সদস্য ও চেয়ারপার্সন হওয়ার পরেও নিজের উপদেষ্টা সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে মাধবী অংশীদারি বহাল রেখেছিলেন। রিপোর্টে দাবি, ওই ভারতীয় উপদেষ্টা সংস্থাটি বিভিন্ন দেশীয় শিল্পকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে। অংশীদার হিসেবে সেই আয়ের শরিক হয়েছিলেন মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে বিদেশি ও অখ্যাত লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে পুঁজি ঢেলে তাদের শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছিল, তাতে বুচ দম্পতির লগ্নি ছিল।

Advertisement

এর পর সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি রিপোর্টে বলা হয়, রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ়ের নথিতে স্পষ্ট, মাধবী সেবি-র পদে থাকাকালীন ২০১৭-২০২২ পর্যন্ত তাঁর ওই সংস্থা ৩.৭১ কোটি টাকা আয় করেছে। যেখানে তাঁর শেয়ার ৯৯ শতাংশ। সেবি-র ২০০৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী, লাভজনক সংস্থায় কাজ করতে বা সেখান থেকে বেতন কিংবা অন্যান্য ফি নিতে পারেন না বাজার নিয়ন্ত্রকের কর্তারা। সেই অর্থে এই ঘটনা সেই নিয়ম ভাঙার শামিল। তবে এই আয়ের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে কি না বা ব্যবসার ধরন কী ছিল, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি বলেই মন্তব্য করেছে সংবাদ সংস্থাটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement