নিজস্বীতে এগিয়ে তরুণ প্রজন্ম

কেউ কেউ বলেন, এটা স্রেফ ‘পাগলামি’। আবার অনেকেই এটাকে ‘রোগ’ হিসেবেই দেখেন।’ নিজস্বী! আর নিজস্বী তোলাটাই এখনকার তরুণ প্রজন্মের নতুন ট্রেন্ড থুড়ি ‘রোগ’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২১
Share:

কেউ কেউ বলেন, এটা স্রেফ ‘পাগলামি’। আবার অনেকেই এটাকে ‘রোগ’ হিসেবেই দেখেন।’

Advertisement

নিজস্বী!

আর নিজস্বী তোলাটাই এখনকার তরুণ প্রজন্মের নতুন ট্রেন্ড থুড়ি ‘রোগ’। অবশ্য তরুণ প্রজন্মের ঘাড়ে পুরো দোষটা চাপিয়ে লাভ নেই। পিছিয়ে নেই প্রবীণ প্রজন্মও। এক কথায় বলা যায়, নবীন থেকে প্রবীণ বা রাজনীতিবিদ থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী— মোটামুটি সব্বাই এখন নিজস্বী জ্বরে আক্রান্ত। অনেক সময় আবার সাধের নিজস্বী তুলতে গিয়ে প্রাণটাও খুইয়ে বসেছেন অনেকেই। এমন উদাহরণও বহু বার পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

তবে নতুন প্রজন্ম এ বিষয়টার প্রতি একটু বেশিই আসক্ত। এক সমীক্ষার পর এমনটাই দাবি করেছে গুগল। গড়পরতা একটা হিসেব করে তারা দেখেছে, দিনে প্রায় ১৪টা করে নিজস্বী তোলেন তরুণ-তরুণীরা।

স্মার্টফোনের এই যুগে সারা ক্ষণ প্রায় ফোন হাতেই সময় কাটে তাঁদের। আবার নিজস্বী তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তা আপলোড করা হয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।

এ প্রসঙ্গে গুগল জানিয়েছে, তরুণ প্রজন্ম দিনের প্রায় ১১ ঘণ্টা ফোন হাতে কাটায়। আর তারাই দিনে গড়ে ১৪টা করে নিজস্বী তোলে। পাশাপাশি, গড়ে ২১ বার করে ফেসবুক, ইনস্ট্যাগ্রামের মতো সোশ্যাল সাইটগুলি চেক করতে থাকে, এবং দিনে গড়ে ২৫টি করে মেসেজ চালাচালি হয়। সেখানে প্রবীণরা গড়ে ২.৪টি করে নিজস্বী তোলেন।

তবে সমীক্ষা যা-ই বলুক, বহু গবেষকই এখন নিজস্বী তোলা নিয়ে গবেষণা করছেন। এটা ‘মানসিক রোগ’ কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না নিজস্বী-আসক্তরা। সবাই ব্যস্ত সেই নিজস্বীতেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন