জোট ভাঙতে নতুন কৌশল বিজেপির

গত কালই নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসকে বাদ রেখে বিরোধী জোট তৈরির বল। এ হেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকেই কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের ফ্রন্ট ভাঙতে উদ্যত বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গত কালই নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসকে বাদ রেখে বিরোধী জোট তৈরির বল। এ হেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকেই কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের ফ্রন্ট ভাঙতে উদ্যত বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ বলেন, ‘‘কেসিআর খুব ভাল মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে আমাদের অনেক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তিনি সরকারের সঙ্গে কখনওই অসহযোগিতা করেননি।’’ শুধু কেসিআর নয়, তেলুগু দেশম সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। প্রাক্তন বিমানমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম নেতা অশোক গজপতি রাজুও বলেছেন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ আর্থিক মর্যাদা দেওয়ার আশ্বাস খোদ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। সেটা কেন্দ্র মেনে নিলে আমরা এনডিএ-তে ফিরতে পারি।’’

একই ভাবে এডিএমকে-কেও সঙ্গে নিয়ে চলছে বিজেপি। বিশেষত দিনকরণের দল যখন ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে, তখন রাজনীতিতে সদ্য সক্রিয় হওয়া রজনীকান্ত, কমল হাসানের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

বিজেপির কৌশল, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে যাতে তৃতীয় ইউপিএ কোনও মতেই তৈরি না হয়। এ জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রীদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে নানা মহল থেকে বিবৃতি দেওয়া শুরু করা হবে। রাম জেঠমলানী ইতিমধ্যেই মমতাকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

কিন্তু আঞ্চলিক নেতাদের চাপে রাখাও বিজেপির কৌশল। এ বার চিট ফান্ড দুর্নীতিতে নবীন পট্টনায়ক এমনকী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ কিছু সাংসদ ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট দফতর। যেমন ভাবে কিছু তৃণমূল নেতাকে তদন্তের লক্ষ্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে রাহুলের ‘অমর, আকবর, অ্যান্টনি’

বিজেপি চাইছে, বিরোধীদের ফ্রন্ট তৈরি হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে যেন তাদের প্রাক্-নির্বাচনী কোনও সমঝোতা না হয়। তাতে কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে বিজেপির লাভ হবে।

কেসিআর গত কাল মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরে যতটা কংগ্রেস বিরোধী কথা বলেছেন, ততটা বিজেপি বিরোধী বলেননি। মমতা নিজে অবশ্য অনেক সতর্ক ছিলেন। তিনি কংগ্রেস সম্পর্কেও নেতিবাচক মন্তব্য করেননি।

রাজনীতিকদের একাংশ বলছেন, অতীতেও টিআরএস-এর বেশ কিছু সিদ্ধান্তে বিজেপি লাভবান হয়েছে। যেমন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ। বিজেপি তার বিরোধিতা করলেও তাদের ভোটব্যাঙ্কই সংহত হয়েছিল। লোকসান হয়েছিল কংগ্রেসের।

তবে টিআরএস নেতারা বলছেন, মোদীর সঙ্গে কেসিআর-এর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল হতে পারে, কিন্তু চার বছরে তেলঙ্গানার জন্য কেন্দ্র কিছু করেনি। তাই অবস্থান পাল্টে জল মাপছে টিআরএস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন