(বাঁ দিকে) প্রাক্তন আইপিএস অফিসার মহম্মদ মোস্তাফা। পুত্র আকিল আখতার। (ডান দিকে) গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন ডিজি মহম্মদ মোস্তাফার পুত্র আকিল আখতারের ‘রহস্যমৃত্যু’র তদন্তে নয়া মো়ড়! এ বার আকিলের ব্যক্তিগত ডায়েরির খোঁজ পেল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়েরির পাতায় পাতায় রয়েছে নানা তথ্য, যা তদন্তে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি, মাদকের সঙ্গে আকিলের মৃত্যুর আদৌ কোনও যোগসূত্র ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারী দলের প্রধান তথা এসিপি বিক্রম নেহরা জানিয়েছেন, শুরুতে আকিলের ব্যক্তিগত ডায়েরিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মোস্তাফাকে ছেলের ডায়েরির কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলের অন্ত্যেষ্টির জন্য আকিলের মোবাইল এবং ডায়েরি নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। ফিরে এসে সেই ডায়েরি পুলিশের হাতে তুলে দেবেন তিনি। সেই মতো এ বার তদন্তকারীদের হাতে ডায়েরিটি তুলে দিয়েছে আকিলের পরিবার। বিক্রম সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘আমরা ডায়েরিটি পেয়েছি। ডায়েরিতে আলাদা আলাদা তারিখে অনেক কথা লেখা রয়েছে। মৃত্যুর আগে ‘ভাইরাল’ হওয়া ভিডিয়োতে আকিল যা যা বলেছিলেন, তার বেশির ভাগ কথাই লেখা রয়েছে ডায়েরিতে।’’
এসিপি আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া কিছু কিছু জিনিসপত্র মাদকের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এ পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, আকিলের মোবাইল এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন ডিভাইসগুলি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
আকিল ছিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি মোস্তাফা এবং সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজ়িয়া সুলতানের পুত্র। পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে সমাজমাধ্যমে প্রায়ই বিবিধ পোস্ট করতেন আকিল। গত বৃহস্পতিবার পঞ্চকুলার বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের পরিবার দাবি করে, ১৮ বছর ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন আকিল। তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তখনই তদন্তকারীরা একটি ভিডিয়োর খোঁজ পান, যেখানে আকিল তাঁর বাবার সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মৃত্যুর আগে একটি পোস্টে তিনি এও লিখেছিলেন যে, তাঁকে বিষ খাইয়ে মারা হতে পারে। ওই পোস্টে একটি ডায়েরির পৃষ্ঠারও ছবি দিয়েছিলেন আকিল। লিখেছিলেন, ‘‘আমি যদি মারা যাই, এই ডায়েরি থেকে আমার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’ এ বার সেই ডায়েরিরই হদিস মিলল।