Chhattisgarh

বাবাকে মারধর পুলিশের! অপমানে ‘আত্মঘাতী’ ছেলে, রিপোর্ট তলব করল মানবাধিকার কমিশন

মৃতের পরিবারের দাবি, সোমবার স্কুলছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে ছেলেকে খুঁজতে বাড়িতে এসেছিল পুলিশ। তবে সে সময় বাড়িতে ছিলেন না হরিশ। এর পর তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বিলাসপুর শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৪
Share:

বাবার গ্রেফতারির পর রেলস্টেশনে গিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বিলাসপুরে এক যুবক। প্রতীকী ছবি।

ছেলের অপরাধের ‘শাস্তি’ হিসাবে তাঁর অনুপস্থিতিতে বাবাকে গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। এমনকি, থানায় ধৃতের উপর চলল পুলিশি অত্যাচার। এর পর অপমানে আত্মঘাতী হল ধৃতের ছেলে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় ৪ দিনের মধ্যে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মৃতের পরিবারকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না, বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর জেলার বাসিন্দা হরিশচন্দ্র গেন্দলে (২৩) সোমবার বেলহা স্টেশনে একটি চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। হরিশের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর অভিযোগ ছিল, মোটরসাইকেল দিয়ে তাঁর সাইকেলে ধাক্কা মেরেছেন হরিশ।

হরিশের পরিবারের দাবি, সোমবার স্কুলছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে ছেলেকে খুঁজতে বাড়িতে এসেছিল পুলিশ। তবে সে সময় বাড়িতে ছিলেন না হরিশ। এর পর তাঁর বাবা ভগীরথী গেন্দলেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানার আধিকারিক এবং কনস্টেবলরা বেদম মারধর করেন তাঁকে। বাড়ি ফিরে সব জানার পর রেলস্টেশনে গিয়ে আত্মহত্যা করেন হরিশ।

Advertisement

হরিশের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা ঘিরে তাঁর গ্রামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বিলাসপুরের অভিযুক্ত আধিকারিক এবং কনস্টেবলদের বরখাস্ত করেন সিনিয়র পুলিশ সুপার পারুল মাথুর।

এই ঘটনায় ছত্তীসগঢ় পুলিশপ্রধানের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি একটি বিবৃতিতে তাদের দাবি, ‘‘সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতের বাবাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করে প্রচণ্ড মারধর করেছে পুলিশ। যার জেরে অপমানিত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ধৃতের ছেলে।’’ কমিশনের মন্তব্য, ‘‘পুলিশকর্মীদের অসংবেদনশীল এবং অমানবিক আচরণে একটি অমূল্য জীবন হারিয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন