মিরওয়াইজ উমর ফারুখ।—ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের টাকায় সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগ। তার জেরে ফের দিল্লিতে ডাক পড়ল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের। হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুখকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নতুন করে সমন পাঠিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ডেকে পাঠানো হয়েছে আর এক বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নাসিম গিলানিকেও। আগামী ১৮ এবং ১৯ মার্চ দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোয় বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের ধরপাকড় শুরু করে এনআইএ। চলতি মাসের শুরুতেই একদফা তল্লাশি চালানো হয় উপত্যকায়। তাতে হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্তর্গত আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুখের বাড়ি-সহ কাশ্মীরের মোট সাত জায়গায় হানা দেন গোয়েন্দারা।
সেই তল্লাশি অভিযানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। তারা জানায়, তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের লেটারহেড উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে একাধিক ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ এবং ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডিং যন্ত্র। সেগুলি মাধ্যমে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। যার উপর ভিত্তি করে একটি চার্জশিটও জমা দেন তাঁরা, যাতে বলা হয়, পাকিস্তানে বসে লস্কর-ই-তইবা নেতা হাফিজ সইদ, হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনরা হুরিয়তকে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। উপত্যকায় নাশকতামূলক কাজকর্মে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষদের তাতিয়ে তুলতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওই টাকা।
আরও পড়ুন: সেনার পোশাকে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে বন্দুকবাজের হামলা, হত ৪০, রক্ষা বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের
আরও পড়ুন: গুলিতে লুটিয়ে পড়ছে মানুষ, হামলার লাইভ স্ট্রিমিং করল বন্দুকবাজ!
বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গত মঙ্গলবারই মিরওয়াইজ উমর ফারুখকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল এনআইএ। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। তাই ফের সমন পাঠানো হল তাঁকে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)