পাক-টাকার খোঁজে উপত্যকায় আজ ফের তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। নিশানায় মূলত হুরিয়ত নেতারাই। এনআইএ এ দিন শ্রীনগরের ৩টি এবং জম্মুর ১টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। অভিযানে পাকিস্তানের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরবেরও প্রচুর অর্থ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
উপত্যকায় অশান্তি জিইয়ে রাখতে টাকা পাঠাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। বিশেষত, লস্কর-ই-তইবা। এমন অভিযোগের তদন্তে নেমে গত কাল জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানাতেও দিনভর তল্লাশি চালায় এনআইএ। সূত্রের খবর, সৈয়দ আলি শাহ গিলানির তেহরিক-এ-হুরিয়তের মুখপাত্র আয়াজ আকবরের বাড়িতে আজ দিনের শুরুতেই হানা দেন গোয়েন্দারা। গত কালের মতো আজও সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশ। তল্লাশি চলে হুরিয়ত নেতা এবং গিলানি ঘনিষ্ঠ পীর সইফুল্লা, জাভেদ আহমেদ বাবার বাড়িতেও। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারে জড়িত সন্দেহে গত কাল দিল্লির ৭-৮ জন ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দফতরে অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। আজ শ্রীনগরের জাফরান কলোনিতে গিয়ে ব্যবসায়ী তারিক আহমেদ খানের বাড়িতে প্রায় দিনভর তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। জি এম ট্রেডিং কোম্পানির একাধিক কর্তাকেও জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে ব্যবসায় যোগ রয়েছে, এমন আরও অনেকের বাড়িতে আগামী দিনে তল্লাশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগরের নওগামে গত কাল গোয়েন্দারা এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল বলে একটি সূত্রের খবর। পুলিশের খাতায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলেও, এনআইএ-র সন্দেহ উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে তাঁর বেশ ভালই যোগাযোগ রয়েছে। টাকা পাচারে তাঁকেও মাধ্যম করে থাকতে পারে হাফিজ সৈয়দের লস্কর-ই-তইবা।