বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের সমনকে হেলায় ওড়ালেন নীরব মোদী। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘‘ব্যবসার কাজে ব্যস্ত। দেশে ফেরা সম্ভব নয়!’’
কাঁচুমাচু মুখে আজ এ কথা জানালেন অসহায় সিবিআই কর্তারা। কোন দেশে নীরব গা-ঢাকা দিয়ে আছেন, দু’সপ্তাহ পরেও তা জানাতে পারল না সিবিআই। তবে সিবিআই কর্তারা জানিয়েছেন, নীরবের সঙ্গে তাদের ই-মেলে যোগাযোগ হয়েছে। আর সেই ই-মেলেই নীরব জানিয়ে দিয়েছেন— ব্যবসায় ব্যস্ত, দেশে ফিরতে পারবেন না। সিবিআই কর্তারা অবশ্য বলেছেন, ‘‘আমরাও পাল্টা বলেছি, সমন পাঠানো হলে হাজির হওয়াটা বাধ্যতামূলক। না-হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
কিন্তু নীরব কোথায় তা জানলে তো ব্যবস্থা! তাঁকে বলা হয়েছে, তিনি যে দেশে রয়েছেন সেই দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তবে নীরব তা না-করলে কী হবে, জানা নেই সিবিআই কর্তাদের। তাঁর খোঁজে ইন্টারপোলে ‘ব্লু কর্নার’ নোটিস জারি করা হয়েছে।
দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অপরাধীদের ছাড়া হবে না বলে শুরু থেকেই সরব বিজেপি। কিন্তু আজ নীরব ও সিবিআইয়ের মধ্যে ই-মেল চালাচালি নিয়ে কংগ্রেসের কটাক্ষ— এ তো যৌথ উদ্যোগ। সিবিআই হাতের পুতুল। কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সিবিআই কী পদক্ষেপ করবে তা বিজেপির ঠিক করা। এটা নমো (নরেন্দ্র মোদী) ও নীমো-র (নীরব মোদী) বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই!’’
তবে নীরবকে ধরতে না-পারলেও, ওই জালিয়াতি মামলায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চিফ অডিটর এম কে শর্মাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস ব্রাঞ্চের অডিটের দায়িত্বে ছিলেন শর্মা।