এই ছবি এখন অতীত।— ফাইল চিত্র।
ততক্ষণে মহাজোট ভাঙার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার জন্য রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। সে দিন রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ‘সহযোগী’ লালুপ্রসাদ যাদবকে ফোন করেছিলেন নীতীশ। জোট ভাঙার জন্য লালুর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দিন নীতীশ ফোনে আরজেডি প্রধানকে বলেন, ‘‘লালুজি, আমাকে ক্ষমা করবেন। কুড়ি মাসের সরকারকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না। আমি পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।’’ প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, আরজেডি প্রধানকে ফোন করার কথা নিজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও জানিয়েছিলেন নীতীশ। ওই বন্ধু মহাজোট ভাঙার বিষয়টি ফের বিবেচনা করা জন্য নীতীশকে অনুরোধ করেছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও, লালুকে ফোন করা বিষয়টি নিয়ে জেডিইউ বা আরজেডি কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি।
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় প্রাধান্য যাদবদেরই
গত বুধবারই আরজেডি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নীতীশ কুমার। পরে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপির সঙ্গে জোট করে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এর পরই লালু-নীতীশের মধ্যে চাপানউতোর চরম মাত্রা নিয়েছে। নীতীশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন আরজেডি প্রধান।