ফাইল চিত্র।
২২ জুন দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকের আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের ‘কৌশল’ ঠিক করতে কোর কমিটির বৈঠক ডাকল জেডিইউ। কাল পটনায় ওই বৈঠকে থাকবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, শরদ যাদব, কে সি ত্যাগী, বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ প্রমুখ শীর্ষ নেতারা।
বিরোধী বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে নীতীশ জেডিইউ কোর কমিটির বৈঠক ডাকায় রাজনৈতিক মহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কোর কমিটির সদস্য তথা দলের বিহার প্রদেশ সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করতেই পারে।’’ কথাটা ঠিক। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সামনে একাধিক প্রার্থী থাকলে তবেই না পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রশ্ন ওঠে।
কাল দিল্লিতে রামনাথ কোবিন্দের নাম ঘোষণার পরে স্পষ্ট, জেডিইউয়ের সমর্থনের পাল্লা কোবিন্দের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে। কিন্তু বিহারে মহাজোটের সরকার রয়েছে। জোটসঙ্গী আরজেডি ইতিমধ্যেই রামনাথকে সমর্থন করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীই ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নেবেন। ২২ জুন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকেই সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। প্রশ্ন উঠেছে, নীতীশ যদি শরিকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তবে বিহারের জোট সরকার কি সঙ্কটের মুখে পড়বে? কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে এই জোট-রাজনীতি আসলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপি-বিরোধীদের বৃহত্তর প্রস্তুতি। প্রশ্ন উঠেছে, সেখানেই যদি নীতীশ ধাক্কা দেন তবে তার পরিণতি কী হবে!