কথা ছিল তিনি আসবেন। বিহারের নির্বাচনের আগে ওই সভার মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করবেন তাঁদের যুগলবন্দির কথা। কিন্তু ফের এক বার লালুপ্রসাদকে এড়িয়ে গেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
আজ পটনার গাঁধী ময়দানে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ওই জনসভার উদ্বোধন করার কথা ছিল নীতীশের। সভার অন্যতম আয়োজক ছিলেন নীতীশ মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য বৈদ্যনাথ সহানি। মঞ্চে নীতীশের দলের বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। ছিলেন জেডিইউয়ের রাষ্ট্রীয় সভাপতি শরদ যাদব এবং রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহও। শুধু এলেন না নীতীশ। দিল্লির বিমান ধরার তাড়ায় সভা শেষ হওয়ার আগে চলে যান শরদও।
পরে নীতীশ বলেন, ‘‘চোখে অস্ত্রোপচার ছিল। সে জন্য সভায় যেতে পারিনি। সেটা আগে আয়োজকদের জানিয়েওছিলাম।’’ একই কথা বলেছেন সভার আয়োজক মন্ত্রী বৈদ্যনাথ।
সভায় শরদ বলেন, ‘‘জোট নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিছু সংবাদমাধ্যম রটনা চালাচ্ছে।’’ তবে লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট করে হবে, তা স্পষ্ট ভাবে জানাননি তিনি।
নীতীশের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, গত রাতে লালুপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয়েছে। সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের জোট নিয়েও আলোচনা চলে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, নির্বাচনের আগে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরতে চান নীতীশ। তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে লালুপ্রসাদের।
নীতীশের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে ১১৫টি আসনে জিতেছিল জেডিইউ। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখেও ওই দল দ্বিতীয় স্থানে ছিল। তাই নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে লড়াই হোক। তা মানতে নারাজ লালুপ্রসাদ। লালু চাইছেন, সমান আসনে লড়াই করার পর, ফলাফল দেখে নেতা নির্বাচিত করা হোক। এ দিন সভায় প্রথম থেকেই নিজস্ব মেজাজে ছিলেন লালুপ্রসাদ। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জন্য তফসিলি উপজাতির দাবি উড়িয়ে ‘কমণ্ডল বনাম মণ্ডল’ স্লোগান নির্বাচনের প্রচারে তুলে ধরার পক্ষে সওয়াল করেন। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে মণ্ডল কমিশনের বিষয়ে প্রচারের উপরেও জোর দেন লালু। কেন্দ্রের জমি বিলের সমালোচনাও করেন।