কলকাতা পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কলকাতা পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীর কাছ থেকে তাঁরা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দেখানো হয়েছে ভুয়ো নথি এবং নীল বাতির গাড়ি। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
অভিযোগকারী দীপু চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার নারায়ণপুরের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, অরুণাভ মুখোপাধ্যায়, ছোটন দাস এবং অরুণাভর স্ত্রী সোহিনী মল্লিক চৌধুরী একসঙ্গে প্রতারণার চক্রান্ত করেন। অরুণাভ নিজেকে সরকারি আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেন এবং জানান, কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরে গ্রুপ সি স্তরের চাকরি তিনি দীপুকে পাইয়ে দেবেন। তাঁর কথা অনুযায়ী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে দেন দীপু। নগদে দেন আরও ১.৪ লক্ষ টাকা। এর পর পুরসভার নিয়োগপত্র দীপুর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পুরসভায় গিয়ে জানতে পারেন, সেই নিয়োগপত্র ভুয়ো।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন দীপু। বেলেঘাটা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে লেনদেনের নথিও খতিয়ে দেখা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা বার বার ঠিকানা বদল করছিলেন। তাই তাঁদের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার অরুণাভ এবং ছোটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীপু প্রথম নন। এর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে এ ভাবে চাকরির লোভ দেখিয়ে তাঁরা ঠকিয়েছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। আপাতত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।