গোয়ার নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক দুই ভাই (বাঁ দিকে) গৌরব লুথরা এবং সৌরভ লুথরা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
গোয়ার নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক দুই ভাই গৌরব লুথরা এবং সৌরভ লুথরা অগ্নিকাণ্ডের পরেই তাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখনও সেখানে আছেন। সেখান থেকেই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন দিল্লির আদালতে। তবে তাঁদের আবেদন এখনই মঞ্জুর হচ্ছে না। মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে বৃহস্পতিবার।
লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে। তাইল্যান্ড থেকে তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রেফতারির ভয়েই দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁদের গ্রেফতার না-করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আগাম জামিনের আবেদন জানান আদালতে। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। লুথরা ভাইরা দাবি করেছেন, তাঁরা দিল্লিতে থাকেন। গোয়ার ক্লাবের আংশিক মালিকানা তাঁদের থাকলেও ওই ক্লাবের দৈনন্দিন কার্যকলাপের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নন। বরং ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধমূলক আচরণ করছেন বলে লুথরাদের অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
বুধবার দিল্লির আদালত গোয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লুথরা ভাইদের অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চেয়েছে। শুনানির পর বৃহস্পতিবার আদালত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। মোট চার সপ্তাহের আগাম জামিন চেয়েছিলেন লুথরা ভাইরা। গোয়ার বার্চ বাই রোমিয়ো লেন নৈশক্লাবের মালিকানা মোট চার ভাগে বিভক্ত। লুথরারা ছাড়াও ওই ক্লাবের মালিক অজয় গুপ্ত এবং সুরেন্দ্র কুমার খোসলা। প্রাথমিক ভাবে অজয় ফেরার ছিলেন। পরে তাঁকে দিল্লি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সুরেন্দ্র ব্রিটিশ নাগরিক বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর গোয়ার আরপোরায় নৈশক্লাবে সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়। মৃত্যু হয় ক্লাবের কর্মী এবং পর্যটক-সহ মোট ২৫ জনের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালিকদের এক জন ছাড়া বাকিদের কাউকে ধরা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের পর নৈশক্লাবের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।