দিল্লিতে আসন ছাড়তে রাজি ছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু পরিবর্তে পঞ্জাবে আপকে জমি ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। সেই টানাপড়েনে কার্যত ভেস্তে গেল আপ-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা।
বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ার প্রশ্নে শুরুতে আলোচনা ইতিবাচক পথে এগোলেও, গত সাত-আট দিন
ধরেই কংগ্রেস ও আপের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। আজ আপ নেতা তথা দলের রাজনৈতিক কমিটির প্রধান গোপাল রাই সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন ‘‘দেশের স্বার্থে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের বিষ পান করতে দল রাজি ছিল। কিন্তু স্পষ্ট, কংগ্রেস নিজের ঔদ্ধত্য নিয়েই আছে। তাই দিল্লি, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় একা লড়ব আমরা।’’ পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শীলা দীক্ষিতও বলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছি, জোট হচ্ছে না।’’ তবে দু’শিবিরের জোটের পক্ষে এখনও যারা আছেন তাঁদের আশা, শেষ পর্যন্ত রাহুল গাঁধী ও কেজরীবালের হস্তক্ষেপে সমাধান সূত্র বার হবে। এ দিকে জোট ভেস্তে যাওয়ায় দৃশ্যতই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, অধিকাংশ আসনই ধরে রাখতে পারবেন দলীয় প্রার্থীরা।
শুরুতে আসন সমঝোতার প্রশ্নে রাজি ছিলেন কেজরীবাল। ইতিবাচক আলোচনাও হয় কংগ্রেসের সঙ্গে। দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করে দু’টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় আপ। রাহুলদের বার্তা দেওয়া হয়, আরও একটি আসন ছাড়তে রাজি তারা। পরিবর্তে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় পাল্টা আসন ছাড়তে হবে কংগ্রেসকে।
হরিয়ানায় আসন ছাড়ায় সমস্যা না থাকলেও, পঞ্জাবে আসন ছাড়া নিয়ে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র
সিংহ। রাহুলের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। অমরেন্দ্র রাহুলকে জানান, দল নিজের ক্ষমতায় ১৩টির মধ্যে অন্তত দশটি আসনে জিততে সক্ষম। আপকে আসন ছাড়লে খলিস্থানপন্থীদের জমি শক্ত হতে পারে। এতে আখেরে ক্ষতি হবে কংগ্রেসের। আপের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের একাংশের শুরু থেকেই আপত্তি ছিল। তারা মনে করে, দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরতে গেলে দলকে একই সঙ্গে বিজেপি ও আপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।