নিতিন গডকড়ী
মহারাষ্ট্রে জোট গড়া নিয়ে শিবসেনা-বিজেপির দর কষাকষি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে নিতিন গডকড়ী এনডিএ-র প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন বলে মন্তব্য করে বিজেপি-তে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বকে উস্কে দিল শিবসেনা।
আবার আজই মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ১০০ কোটি টাকা খরচ করে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোট নিয়ে স্নায়ুর লড়াইয়ের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত শিবসেনার উদ্দেশে বিজেপির ইতিবাচক বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ বিরোধী জোট আড়েবহরে বাড়ছে। অন্য দিকে, শরিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সামলাতে হচ্ছে বিজেপিকে। তার উপরে তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর ক্ষুব্ধ সঙ্ঘের একাংশ নরেন্দ্র মোদীর বদলে নিতিন গড়কড়ী বা রাজনাথের মতো নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে আগ্রহী। বেসুরে বাজছেন গডকড়ীও। রাজনাথও বিক্ষুব্ধ নেতা ও শরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতিতে এনডিএ-র প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন গডকড়ী।’’ বিজেপি’র রবিশঙ্কর প্রসাদ শুধু বলেন, ‘‘সকলেরই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, লোকসভার সঙ্গেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী নির্বাচন কমিশনের একাংশ। তা না হলে লোকসভার পরেই ওই রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। এখন উদ্ধব ঠাকরেদের কৌশল হল, লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা জোটের বিষয়টি ঘোষণা করিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনার প্রার্থীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা। কিন্তু বিজেপি’র দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক হোক ভোটের পরে। রাউত বলেন, ‘‘জোট নিয়ে আমাদের কোনও কথা হয়নি। বিজেপি নিজেদের কথা ভাবছে। আর আমরা আমাদের কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।’’
তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ এ-ও বলছে, দর কষাকষির লড়াইয়ের কৌশল হিসাবেই দু’পক্ষ প্রকাশ্যে নরম-গরম বার্তা যেমন দিচ্ছে, তেমন সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টাও শেষ হয়ে যায়নি। বিজেপি-র সঙ্গে জোটের বিষয়টি নিয়ে যেমন আজই বৈঠক করেছেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে।