গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করা নিয়ে কী ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার? সংসদে জানালেন মন্ত্রী। — ফাইল চিত্র।
গরুকে ভারতের জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়ার দাবি নতুন নয়। মঙ্গলবার সাংসদে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী ভাবনা রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে মৎস্য, পশুপালন এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এসপি সিংহ বাঘেল স্পষ্ট জানান, গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করে আইন প্রণয়নের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাঘেল বলেন, ‘‘সংবিধানের ২৪৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা বণ্টনের অধীনে প্রাণী সংরক্ষণ এমন একটি বিষয়, যার উপর আইন প্রণয়নের বিষয়ে রাজ্যের একচেটিয়া ক্ষমতা রয়েছে।’’ তবে বাঘেল এ-ও জানান, গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কোনও আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।
বাঘেল আরও জানান, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন’ বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গরু নিয়ে প্রচার, সুরক্ষা এবং লালন-পালনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলিকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে জোরদার করার কাজ চলছে। দেশে দুধ উৎপাদন সম্পর্কে পরিসংখ্যান দিয়েছেন বাঘেল। সংসদে তিনি জানান, ২০২৪ সালে দেশে মোট ২৩ কোটি টন দুধ উৎপাদন হয়েছে।
গরুকে ভারতের জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়ার প্রশ্ন অতীতেও সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বছর দুই আগে সংসদে তৎকালীন বিজেপি সাংসদ ভগীরথ চৌধরি প্রশ্ন করেছিলেন, গরুকে কি জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়া হবে? কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে করা এই প্রশ্নের জবাবে ওই মন্ত্রকের তৎকালীন মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছিলেন, ভারতের জাতীয় পশু এবং পাখি ইতিমধ্যেই ঠিক করা রয়েছে। গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে যে কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে, তার মূল লক্ষ্য দেশের গবাদি পশুর উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ। দুধের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং দুগ্ধ উৎপাদনকে গ্রামীণ কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক করে তোলার গুরুত্ব বোঝাতে এই প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্র।