(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বাংলাদেশ থেকে আরও কিছু পণ্য ভারতে স্থলপথে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত, পাট এবং পাটজাতীয় পণ্যের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, পাট এবং পাটজাতীয় দড়ি, বস্তা, ব্যাগ, ব্লিচ করা বা ব্লিচ না-করা অবস্থায় থাকা চটে বোনা কাপড়-সহ একাধিক পণ্য স্থলপথে ভারতে ঢুকতে পারবে না। কেবল মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বইয়ে নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই ধরনের পণ্য প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
অতীতেও বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্য ভারতে স্থলপথে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা এবং বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে ওই সব পণ্য ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত এপ্রিল মাসে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। বলা হয়েছিল, ভারতের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবে না বাংলাদেশ।
পরে মে মাসে বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্য ভারতে স্থলপথে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মোদী সরকার। বিজ্ঞপ্তি দারি করে ডিজিএফটি জানিয়েছিল, বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ইত্যাদি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি করা হবে না। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি দিয়ে তৈরি জিনিস, রঞ্জকের মতো পণ্য। এগুলি বাংলাদেশ থেকে অসম, মিজ়োরাম, মেঘালয় কিংবা ত্রিপুরার কোনও শুল্ককেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রক। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়। তার পরে জুন মাসে আরও কয়েকটি বাংলাদেশি পণ্যের উপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের পাট বা শণের তৈরি কোনও পণ্য স্থলপথে ভারতে ঢুকতে পারবে না। সোমবার সেই তালিকাই আরও দীর্ঘ হল।