National News

মন্দির-শ্মশান নয়, শপথ নিয়ে রাজধর্মেই জোর দিলেন যোগী আদিত্যনাথ

কারও আশা ছিল, কারও আশঙ্কা ছিল— কিন্তু অধিকাংশই ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক থেকেই আগামী পাঁচ বছর উত্তরপ্রদেশকে হিন্দুত্বের পথে হাঁটানোর কথা ঘোষণা করে দেবেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী তা করলেন না। ব্যক্তির ধর্ম নয়, রাজধর্মের কথা বললেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ১৯:৪৭
Share:

‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’— বার্তা যোগীর। ছবি: পিটিআই।

কারও আশা ছিল, কারও আশঙ্কা ছিল— কিন্তু অধিকাংশই ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক থেকেই আগামী পাঁচ বছর উত্তরপ্রদেশকে হিন্দুত্বের পথে হাঁটানোর কথা ঘোষণা করে দেবেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী তা করলেন না। ব্যক্তির ধর্ম নয়, রাজধর্মের কথা বললেন। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’— এই বার্তাই চারিয়ে দিতে চাইলেন গোরক্ষপুর মঠের প্রধান মহন্ত।

Advertisement

‘‘২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে লোককল্যাণ সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছিল, সেই সঙ্কল্প পত্রের সব প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করব।’’ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এটাই ছিল যোগী আদিত্যনাথের বার্তা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, শিক্ষার মানোন্নয়ন, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান, মহিলাদের নিরাপত্তা, কৃষক-ক্ষেতমজুর এবং দলিতদের উন্নতি— এই লক্ষ্য নিয়েই এগোবে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। জানিয়েছেন যোগী। উপমুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের পাশে নিয়েই এ দিন লখনউতে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে সব মন্ত্রীকে নিজেদের সম্পত্তির যাবতীয় হিসেব তাঁর কাছে জমা দিতে হবে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য উত্তরপ্রদেশকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সরকার উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি বলে মনে করছেন যোগী।

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ— দু’জনেই শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখলেন যোগীর উপর। তিনি এই আস্থার মূল্য দিতে পারবেন তো? উত্তর দেবে আগামী পাঁচটা বছর। ছবি: পিটিআই।

Advertisement

প্রথম সাংবাদিক বৈঠক দীর্ঘায়িত করেননি উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার মধ্যেই একাধিক বার জানিয়েছেন, সব শ্রেণির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে তাঁর সরকার। জানিয়েছেন, বেহাল পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং পিছিয়ে পড়া বুন্দেলখণ্ডের উন্নয়নে নতুন বোর্ড বানাবেন। প্রশ্ন আরও অনেক ছিল ছিল। তবে প্রথম দিনেই খুব বেশি প্রশ্নের জবাব দিতে দৃশ্যতই রাজি ছিলেন না যোগী। শুধুমাত্র উন্নয়ন এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের বার্তা দিয়েই শেষ করে দিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠক। এক বারও তোলেননি রাম মন্দির প্রসঙ্গ, আসেনি শ্মশান-কবর বিতর্কও।

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েকটা মাসেই অসামান্য রাজনৈতিক নবজন্ম রীতা বহুগুণার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement