প্রতীকী ছবি।
দলের কোন্দলে রাশ টানতে গিয়ে কোপ পড়ল পাগড়িতে।
এর আগে জমি অধিগ্রহণ আইনের প্রতিবাদে রামলীলায় সভা করেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেখানে হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডার সমর্থকরা গোলাপি পাগড়ি পড়ে এসেছিলেন। আর দলের রাজ্য সভাপতি অশোক তানওয়ারের সমর্থকরা লাল। অশোক যখন বক্তৃতা দিতে ওঠেন, তখন গোলাপি পাগড়িধারীরা স্লোগান তুলে বাদ সাধেন। সামনের রবিবার রাহুল গাঁধী ফের রামলীলায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জন-আক্রোশ সভা করছেন। এ বার নানা রঙের পাগড়ি পরতেই বারণ করে দিয়েছেন তিনি। হুডা ও অশোক, দু’জনকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নিজের সমর্থকদের এ কথা স্পষ্ট বলে দিতে।
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, এখনও রাজ্যে-রাজ্যে দলের নেতায়-নেতায় কোন্দল রয়েছে। দিল্লিতে সভা করতে হলে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য থেকে কর্মী আনতেই হবে। কিন্তু সেখানে যদি কোন্দলের ছবিই ফুটে ওঠে, তা হলে মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ থেকে দৃষ্টি ঘুরে যাবে।
রাহুল এখন রাজ্যে রাজ্যে রাশ ধরছেন। মধ্যপ্রদেশে যেমন কোন্দলের জন্যই এত দিন সভাপতি নিয়োগ করা যায়নি। কিন্তু রবিবারের সভার পর সেখানে কমল নাথকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও এই পদের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। কিন্তু প্রবীণ নেতারা, এমনকী সম্প্রতি কয়েক মাসের নর্মদা পরিক্রমার পর দিগ্বিজয় সিংহও কমল নাথকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। কংগ্রেস সূত্রের মতে, রবিবারের পর উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাতেও সাংগঠনিক রদবদলের কাজ সেরে ফেলবেন রাহুল।