Monsoon Session

কোনও প্রশ্ন নয়? সংসদে কোপ প্রশ্নোত্তর পর্বে

অতিমারির কারণে বহু দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলেছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৪
Share:

ছবি সংগৃহীত।

অতিমারি আবহকে কাজে লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কি সংসদে বিরোধীদের প্রশ্ন করার অধিকারই কেড়ে নিচ্ছে? সংসদের বর্যাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এই প্রশ্নে টানাপড়েন শুরু হল সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে।

Advertisement

অতিমারির কারণে বহু দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলেছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। কিন্ত এই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছে, এবং এক ঘণ্টার জিরো আওয়ার-এর সময় ছেঁটে আধ ঘণ্টা করা হয়েছে। সাংসদ এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে অধিবেশন চালানোর জন্য যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এটি তারই অঙ্গ বলে জানানো হয়েছে।

যদিও সেই ব্যাখ্যায় বিরোধীরা সন্তুষ্ট নন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁদের অসন্তোষ জানিয়েছেন। সিপিআই সাংসদ বিন্য় বিশ্বম রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন।

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীদের কন্ঠরুদ্ধ করার এটি নতুন কৌশল মোদী এবং অমিত শাহের সরকারের। অধীরের দাবি, এই সিদ্ধান্তের পুর্নবিবেচনা করা হোক। সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এ বারের অধিবেশন বসছে। ফলে কিছু নিয়মের এ দিক ওদিক করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’

তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, বিভিন্ন সমস্যা এবং কেন্দ্রীয় ব্যর্থতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বের উপরে কোপ মারা হল। তাঁর কথায়, ‘হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহে সাত দিন চলার ফলে অধিবেশনের মোট সময় কমছে না বরং বাড়ছে। তা হলে কেন আমরা প্রশ্ন করার অধিকার পাব না? প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে বেশিসংখ্যক অফিসারকে সংসদে আসতে হবে বলে সরকার পক্ষের বক্তব্য। কিন্তু আজ যখন বেশিরভাগ কাজই ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে হচ্ছে তথন মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট অফিসাররা সে ভাবেই ব্রিফ করে দিতে পারেন।‘

কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরির বক্তব্য, ‘‘সংসদে প্রশ্ন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে তার প্রতিবাদ করতেই হবে। জিরো আওয়ারে সাংসদেরা মানুষের বিভিন্ন জরুরি সমস্যার কথা তুলতে পারতেন। সেটাও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এখনও বলছি এই সিদ্ধান্তের পুর্নবিবেচনা করা হোক। সরকার চাইলে এখনও তা করতে পারে।’’

কংগ্রেস এবং তৃণমূলের দুই নেতাই জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান নেতা রাজনাথ সিংহের কথা হয়েছে। তাঁকেও এই অসন্তোষের কথা জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন