অসহিষ্ণুতা নিয়ে ফের সরব রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

নাম না করেও রামজস কলেজের ছাত্র সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের চেষ্টার কণ্ঠরোধ করার যে অভিযোগ বারেবারে কেন্দ্রের শাসক দলের দিকে উঠছে, পরোক্ষে সে দিকেই আঙুল তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমাদের সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এখানে যুগে যুগে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, দর্শন, ভাবধারার প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

ক্ষুব্ধ: কোচিতে প্রণব। ছবি: পিটিআই।

নাম না করেও রামজস কলেজের ছাত্র সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের চেষ্টার কণ্ঠরোধ করার যে অভিযোগ বারেবারে কেন্দ্রের শাসক দলের দিকে উঠছে, পরোক্ষে সে দিকেই আঙুল তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমাদের সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এখানে যুগে যুগে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, দর্শন, ভাবধারার প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে এসেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তেমনি সমালোচনা এবং ভিন্নমতেরও স্থান রয়েছে।’’

Advertisement

অসহিষ্ণুতা বিতর্কে আগেও মুখ খুলে মুক্তচিন্তার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। আজ কোচিতে ষষ্ঠ ‘কে এস রাজামণি মেমোরিয়াল লেকচার’-এ তিনি বলেন, ‘‘অসহিষ্ণু ভারতবাসীর এ দেশে কোনও স্থান নেই। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতে মুক্ত চিন্তা, স্বাধীন বক্তব্য ও ভাবপ্রকাশের ঐতিহ্য রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠান ঘিরেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে অসহিষ্ণুতা বিতর্ক। দিল্লির রামজস কলেজে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছিল ‘প্রতিবাদের সংস্কৃতি’ নামে একটি বিতর্ক সভাকে ঘিরে। সেখানে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয় জেএনইউয়ের ছাত্র তথা দেশদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত বাম ছাত্রনেতা উমর খালিদকে। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি সেই বিতর্ক সভা ভেস্তে দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের সঙ্গে মারামারিতেও জড়িয়ে পড়ে। প্রহৃত হন শিক্ষকদের একাংশও। এর পরেই এবিভিপি-র বিরুদ্ধে পথে নামেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জেএনইউ-য়ের পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: রিজিজুর টুইট, বিপাকে সেনা জওয়ান

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement