অহমদাবাদে মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমান। ছবি: পিটিআই।
অহমদাবাদ থেকে ওড়ার পর মুহূর্তে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সওয়ার ২৪২ জনই নিহত। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। তবে অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এএনআইকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে সওয়ার এক জনের প্রাণ বেঁচেছে। তিনি ১১এ আসনে বসেছিলেন। তবে মৃতের সংখ্যার বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এআই১৭১ নম্বরের বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। সেটি ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ওড়ার পর মুহূর্তের মধ্যে গুজরাতের মেঘানিনগরে লোকালয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তার পরেই বিমানটিতে আগুন লেগে যায় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার পরে আগুন এবং কালো ধোঁয়া বার হচ্ছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানে সওয়ার ২৪২ জনের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বাকি ১২ জন কর্মী। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়। তা ছাড়া ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে ছিলেন। কানাডার এক নাগরিকও ছিলেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে অহমদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন।
বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় শতাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। রয়টার্স জানিয়েছে, অহমদাবাদের হাসপাতালে অন্তত ১০০টি দেহ ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। অনেক দেহই ঝলসে গিয়েছে। ফলে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।